
সবার জন্যে, সব পক্ষের জন্যে নিরাপদ হয় এরকম একটা স্হায়ী ব্যবস্হার দরকার। সংসদে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যতো আছেই। তাওয়া গরম থাকতে থাকতেই রুটি বানাতে হয়। সকল রাজনৈতিক দলকে আস্হায় নিয়ে বা আলোচনা করে, জাতীয় সংসদে বিল পাস করে যে কোন নিরাপদ নির্বাচনী ব্যবস্হায় ফিরে যাওয়ার এখনই সময়। যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্হা ফিরে আসবে নির্বাচনী ব্যবস্হায়, শাসনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, বিচার ব্যবস্হায়। কিন্তু এই কাজের দায়িত্ব নিতে হবে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে।
মনে রাখা দরকার, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান কিন্তু বাকী ১৮ কোটি জনগণ রাজাকার নন। বিভক্তির রাজনীতি বাদ দিয়ে রিকনসিলিয়েশন দরকার। একজন তরুণ লিখেছেন, তার জন্ম স্বাধীনতার ত্রিশ বছর পর, তিনি কি করে রাজাকার হন? কথায় কথায় যারা অন্যকে রাজাকার বলেন তারা ভাল লোক নন এবং তাদের উদ্দেশ্য কখনোই ভাল নয়। সকল উন্নত দেশেই রাজনৈতিক দলগুলো মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এগুতে চায়, বিভক্ত করে নয়।
সরকারের আশে পাশে দীর্ঘদিন যাবত এমন কিছু লোক গড়ে উঠেছে যারা নানান সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত তারা কখনোই সরকারকে ভাল পরামর্শ দেন না, যার প্রমাণ আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফেরার পর যে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সেখানে। এত মোসাহেবী প্রশ্ন পৃথিবীর কোন সরকার বা রাষ্ট্র প্রধানের প্রেস কনফারেন্সে দেখি নাই। প্রশ্ন করতে গিয়ে বক্তৃতা করে ফেলেন পাঁচ মিনিট। সেই পাঁচ মিনিটে সরকারের কোন ভুল ত্রুটি ধরা হয় না, যা হয় তা শুধুই প্রশংসা। এই হলো অবস্হা। সম্প্রতি নিউইয়র্কে সময় টিভির সাংবাদিক ধাওয়া খেল কেন? এসবেরই আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত সরকারী দলের।
আরো একটি ঘটনা না বললে নয়। কোর্টের রায় প্রকাশ হবার পর টিভিতে দেখানো হলো, চৌদ্দ দল রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। চৌদ্দ দল কে? হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও দীলিপ বড়ুয়া। এদের প্রতি মানুষের ন্যুনতম কোন আস্হা আছে কি? যা কিছু হচ্ছে বা এ কদিন যাবৎ হলো, দেশের ৭৫ বছরের পুরনো রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।
স্কারবোরো, কানাডা