0.6 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

আমাদের সায়ীদ ভাই

আমাদের সায়ীদ ভাই
আমাদের সায়ীদ ভাই

শুভ জন্মদিন সায়ীদ ভাই। সেই সত্তরের দশকের মাঝমাঝি সায়ীদ ভাইয়ের গ্রীন রোড স্টাফ কোয়ার্টর বাসায় যখন তখন গিয়ে খেতাম। গেস্টিকের পেটজ্বালায় ভাবীর কাছে এক কাপ দুধ চাইতাম অহরহ। এই ২০২৪শের জুনের প্রথম দিকে আবার গেলাম তাঁর বর্তবানর সেন্ট্রাল রোড বাসায়।

উপলক্ষ্য ছিলো অনুপম দাস আমাকে নিয়ে যে ডকোমেন্টারী ফিল্ম বানানোর পরিকল্পনা করে কাজ শুরু করেছে সেটির জন্যে আবদুল্লহ আবু সায়ীদের আমার সম্পকে অল্পস্বল্প কথন দরকার। আমার জীবন ঢাকায় শুরুর সময় তিনি কতটা আগলে রেখে ছিলেন কতটা হাত বাড়িয়ে দিয়ে ছিলেন এই সব দু’টো কথা আরকি! তখন ফ্রকপরা মাথায় দুই দিকে দুই বেনি বাধাঁ সায়ীদ ভাইয়ের দুই মেয়ে লুনা আর জয়া। জয়াতো এখন নিজেই এক ব্যক্তিত্ব,পাঁচ ফুট সাত আট উচ্চতা চোখে কালো মোটা ফ্রেমের চশমা। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে সে এক অনুষ্ঠাানে এগিয়ে এসে –ইকবাল চাচা আমাকে চিনেছেন?

- Advertisement -

আমি আপনার সায়ীদ ভাইয়ের সেই ছোট মেয়ে জয়া। তানা বল্লে আমিতো চিনতেই পারিনি। তারপর থেকে জয়া কত সহযোগীতা করলো। ভাবীর ও বেশ বয়স হয়েছে। তবু বাইরে থেকে আনিয়ে কত সব দরুণ খাওয়ার লাঞ্চ আয়োজন করলেন আমার জন্যে। খাওয়ার পর এক কাপ মিল্কভিটা দুধ দিলেন। আমার যদিও সেই সত্তর দশকের গেস্টিক পেটজ্বালা নেই। তাছাড়া মিল্কভিটা খাইনা। তবু হাত বাড়িয়ে দুধ নিয়ে খেয়ে নিলাম। ভাবী বল্লেন- বয়সতো কম হয়নি তবে একটুও বদলাওনি! বল্লাম – ভাবী বদলায় মানুষেরা আমিতো মনুষ নই,আমি ‘ম্যানিমাল’ মনুষ ও জন্তুর সংমিশ্রণ।

সায়ীদ ভাইয়েরও বয়স হয়ছে,নানা ঔষধের ওপর নির্ভরতা হয়েছে। তবে তিনিও বদলাননি সেই ভূবন ভাসানো হাসি,সেই কথায় হিয়ুমারে ভরপুর। এক চিমটি চাইলে সায়ীদ ভাইও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে পারতেন এই বাংলাদেশে। তা কিন্তু তিনি করেননি। করেছেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র।বই পড়িয়েছেন গোটা দের তরুণ সমাজকে। তরুণ সমাজকে করেছেন আলোকিত মানুষ। তাইতো আজ বাংলাদেশের সব কিছুই পঁচে দুর্গন্ধময় হলেও তরুণ সমাজই পঁচেনি!নতুন এক বাংলাদেশের আলোর দিশা দেখাতে পারে তারাই।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles