7.9 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

আমার অনুভূতির প্রকাশ

আমার অনুভূতির প্রকাশ
আমার অনুভূতির প্রকাশ

একটা কথা সবার মনে রাখা উচিত। সেটা হলো এই বিজয় দেশ ও সারা বিশ্বের বাংলাদেশিদের হলেও, যারা জীবনের বিনিময়ে এই ইতিহাসের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করা জয় ছিনিয়ে এনেছেন তারা হলেন ছাত্ররা।

আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, এই বিজয়ের মহা বীরেরা হলেন কোটা আন্দোলনের সব কয়জন সমন্বয়কারী। তাদের ট্যালেন্টেড পরিকল্পনা, দক্ষ গাইডলাইন ছাড়া এই আন্দোলন পরিচালনা সম্ভব হতো না। পরিচালনা করে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে তারপরে তো আন্দোলন শুরু হবে ও সবার অংশগ্রহণ থাকবে। সেই কাজটা যে কতোটা সুনিপুনভাবে এই সমন্বয়কারীরা করেছেন সেটা শুধু অনুভব করার বিষয়। এত অল্প সময়ে এই বিজয় এসেছে এবারের আন্দোলনে আমার কাছে আজও ম্যাজিক মনে হচ্ছে। আর সমন্বয়কারীদের মনে হচ্ছে তারা সবাই দক্ষ ম্যাজিশিয়ান।

- Advertisement -

তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। নানা রকম হুমকি দেওয়া হয়েছে। ডিভি অফিসে নাটক করা হয়েছে। নাহিদকে যেভাবে নির্যা**তন করা হয়েছে অন্যান্য অনেকের মতো তা ইতিহাস সাক্ষী থাকবে। তাও তারা আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসেন নি। কোনো রকম লোভ-প্রলোভনে ভুলে যান নি দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা।

তারা যে একটা নোবেল পাওয়ার যোগ্য এতে কারোর দ্বিমত থাকার কথা না। বছরের পর বছর ধরে পুরানো রাজনৈতিক দলগুলো হাসিনার উৎখাতে রাস্তায় নেমে টিকতে পারে নি দুই দিনও। সবাইকে হাসিনা কারা*গারে ঢুকিয়ে রেখে সব আন্দোলন ভেস্তে দিয়েছিলেন। আগামী আরো পঞ্চাশ বছর ঐসব রাজনৈতিক দল যদি রাস্তায় বসে হাসিনার নামানোর নামে আন্দোলনও করত তাতেও কিছুই হতো না। হাসিনা থাকতেন বহাল তবিয়তে।

কিন্তু এই সমন্বয়কারীরা অত্যন্ত কম সময়ে তাদের মেধা, বুদ্ধি, সাহস খাটিয়ে জীবনের প্রতি মায়া না করে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তা কখনোই কারোর হৃদয় থেকে মুছে যাবে না।

তারপরে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কথা তো হৃদয়ে র*ক্ত দিয়ে লেখা রয়েছে। তারা তো রাস্ট্রীয় বীরের খেতাব পেয়েছেন।

সঙ্গে আছেন দেশে সকল জনগণ যারা মাঠে ছিলেন, কলমে ছিলেন, কথা বলেছেন সবাই। এ বিজয় সবার এককথায়। এটা একটা অবিশ্বাস্য বিজয়।

আমার কথা হচ্ছে, যারা জীবন দিয়ে এই অবিস্মরণীয় বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন সেই ছাত্রেদের অবদানের কথা ওপাশে রেখে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে লেগে যাবেন না। শহীদের র*ক্তের ছাপ কিন্তু এখনো রাজপথে লেগে আছে। নাহিদের শার্ট খুললে দেখা যাবে এক বীভৎস নির্যাতনের কালিমা।

সুতরাং যে যার জায়গা থেকে নিজেদের আখের গুছাতে মিটিং-মিছিল-জনসভা করাটা এসময় একটা চরম অবমাননাকর বিষয়। একটা কথা মনে রাখবেন কাদের হাত ধরে এ বিজয় এসেছে। তাদের র**ক্তের দাগ শোকাতে দেন।

অন্যদিকে কা*রাগারে আটকে থা*কা সকলেই কিন্তু সাধু-সন্ন্যাসী না। তাই অতীত রেকর্ড দেখে দেখে ছাড়া হোক। তাতে দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

এসময় অন্য ধর্মীয় মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিরাপত্তা দিতে হবে। সবাই মিলেমিশে থাকতে হবে।

আল্লাহ আপনাদের নিরাপদ রাখুন।

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles