
প্রায় চার মাস আগে এক নারীর গলার হারসহ মূল্যবান সোনার গয়না চুরি হয়েছিল বাড়ি থেকে। সেই ঘটনার তদন্ত করেও কোনো কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। শেষপর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ধরা পড়ল চোর। হোয়াটসঅ্যাপে চুরি যাওয়া গলার হার পরা ছবি দিয়েছিলেন গৃহকর্মী। তা দেখেই শেষপর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড ডিভিশনে।
জানা গেছে, ওই গৃহকর্মীর নাম রেণুকা। তিনি হোয়াইটফিল্ড ডিভিশনের পূর্ব ফাউন্টেন স্কয়ার অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ওই ফ্ল্যাটে আগে গৃহকর্মীর কাজ করেছিলেন। গত ৩০ মার্চ চুরির অভিযোগ জানিয়েছিলেন কমপ্লেক্সের বাসিন্দা ব্রিজেশ ধামি। তার অভিযোগ ছিল, বাড়ির আলমারির মধ্যে একটি ব্যাগে দুটি আংটি, এক জোড়া চুড়ি, এক জোড়া কানের দুল, একটি নেকলেস ও একটি সোনার চেইন চুরি হয়ে গিয়েছিল।
তিনি জানিয়েছিলেন, এই গয়নাগুলো তার স্ত্রী শেষবার ২০২৩ সালের দীপাবলিতে পরেছিলেন। পরে সেগুলো আলমারিতে রেখে দিয়েছিলেন। এরপর ২৯ মার্চ দেখেন যে সেগুলো নেই। তারপরেই তিনি স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান।
অভিযোগপত্রে বাড়িতে কাজ করা ৪ গৃহকর্মীর নাম দেওয়া হয়েছিল সন্দেহভাজন হিসেবে। তার মধ্যে রেণুকার নামও ছিল। জানা যায়, আগে ওই বাড়িতে কাজ করতেন রেণুকা। প্রাথমিক তদন্ত এবং সন্দেহভাজন চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সত্ত্বেও পুলিশ কোনো যোগসূত্র খুঁজে পায়নি। ফলে কে আসল অপরাধী তা ধরতে পারেনি পুলিশ।
হোয়াইটফিল্ডের ডিসিপি শিবকুমার গুনারে জানান, প্রায় ৪ মাস পরে ওই পরিচারিকা চুরি যাওয়া গলার হার পরা নিজের একটি ছবি তোলেন এবং ছবিটি তার হোয়াটসঅ্যাপ ডিসপ্লেতে ব্যবহার করেন। তা দেখতে পেয়েই সঙ্গেসঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ব্রিজেশের স্ত্রী।
এরপরেই পুলিশ গত ৩০ জুলাই রেণুকাকে মারাঠাহল্লির মুন্নেকোলালুতে তার বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে। অবশেষে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়েন ওই গৃহকর্মী। তিনি অ্যাপার্টমেন্টে চুরির কথা স্বীকার করেন। এরপরেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।