
আজ একটা অভিজ্ঞতা হলো সীগাল পাখি সম্পর্কে। তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। যারা খুব ব্যস্ত, তারা স্কিপ করবেন প্লিজ। কোন কিছুই অপরিহার্য নয়।
এই এরো-ডাইনামিক পাখি আমার খুব প্রিয়। এরা কারও সাতেও না, পাঁচেও না। খাবারের আসপাশে কেউ না থাকলে ছো মেরে তো নিবেই? খুব স্বভাবিক।
যাই হোক, আসল কথায় আসি।
আজ কুইবেকের সেইন্ট এরিন বীচে ঘুরতে গেলাম। আমার ছেলে প্যাকেট থেকে কিছু পটেটো চিপ্স ছুড়ে দিতেই বিশ-পঁচিশটা সীগাল (গাংচিল) জুটে গেল। তাদের মধ্যে খুব বদরাগী মোটাসোটা এক সীগাল এসে এমন ভাব করতে লাগলো যেন সব চিপ্সের মালিক সে নিজে, সব তার বাপের। সব সে একাই খেতে লাগলো, অন্য কেউ নিতে গেলে ভয়ংকরভাবে কামড়ানোর জন্য তেড়ে যেতে লাগলো। কিছু চিপ্স মুঠোয় গুঁড়ো করে ছিটিয়ে দিলে সে আগে সবাইকে ঠোকর মেরে সরিয়ে জায়গাটা সিকিউর করে নিচ্ছে, তারপর সব গিলছে। একটুও বাড়িয়ে বলছি না। ভিডিও দিলাম, আমার বউ-পোলাপানকেও জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। একবার তো সে আরেক সীগালের মুখের ভেতরে ঠোঁট ঢুকিয়ে চিপ্স বের করে আনলো।
এতোই লোভী!
আমরা চারজন বিস্ময়ে দেখছিলাম দুষ্টু পাখির কান্ডকারখানা।
চিপ্সজাতীয় খাবার পশু-পাখিদের জন্য ভাল নয়। ঐ পেটুক পাখির পরিনতি হবে খুব খারাপ। গায়ে চর্বি জমেছে; কিছুদিন পর হয়তো উড়বার ক্ষমতাও হারাবে।
গল্পের শেষ এহানেই।
ভাই-বোনেরা, ফাস্ট ফুড কম খাবেন। শইলের জন্য ভালো না। সাদা মনে দুষ্টু পাখির ঘটনা বললাম আপনাদের আপন মনে করে। কাউকে মিন করে কিছু বলিনি। কারও সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে গেলে আমার কিচ্ছু করার নাই।
এমনিতেই আমার অনেক দোষ..
অটোয়া, কানাডা