
গোপালগঞ্জ আর্মির গাড়িতে ভাঙচুর, আগুন, চুরি, গালিগালাজ করা মানুষদের সাথে ৩২ নাম্বার জ্বালানো, গণভবন চুরি, মানুষের বাড়ী বাড়ি ডাকাতি আর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার করা মানুষদের কোনো তফাৎ নেই। এরা সব এক গোয়ালের গরু।
ভন্ড, মূর্খ, অশক্ষিতি, বাটপার আর ধান্দাবাজের দল।
এদের প্রত্যেককে কঠোর শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর নাম ডোবানো, তাকে অসম্মান করা তার আদর্শকে ভুলুন্ঠিত করা এই জাতীয় চটুকুরদেরই কাজ।
অনেকে হয়তো বলতে পারেন এগুলি অন্য দলের লোক গোপালঞ্জের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য করেছে, ঠিক আছে তাহলে আপনারা কি বসে আঙ্গুল চুসছিলেন। দুঃখিত আমার এই রূঢ় ভাষা ব্যবহারের জন্য। আপনার যদি মনে হয়ে থাকে আর্মি ঠিক কাজ করে নাই, তাহলে তার যথাযুক্ত প্রমান পেলে আগামীতে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেন, সেই মুরোদ তো এই লোকগুলির নেই। যতসব সংভাঙ্গা ধামরা !!
এই ভাঙচুর করে আপনি শুধু আর্মির বা জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করেন নাই, আপনি গোপালগঞ্জের অনেক নিরীহ এবং সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষতি করেছেন, আপনাদের খাইছলতের কারণে সারা এলাকার মানুষ গালাগালি খাবে। এখনো ওখানে অনেক অনেক ভালো মানুষ আছে, অন্য দলের মানুষও আছে, আপনার মতের সাথে মিল নেই সে রকম মানুষও আছে, তাদের জন্যও আপনি অত্যান্ত ক্ষতিকারী মানুষ।
কেউ কেউ আবার বলতে পারেন সারা দেশ জুড়ে যা হচ্ছে তার তুলনায় ইটা কিছু না, না একেবারে ভুল।
সারা দেশ জুড়ে যা হচ্ছে এই মুহূর্তে আপনার এই কাজটি তার থেকেও ভয়ঙ্কর !!
আমি আমার পেইজে পলিটিকাল এবং এক্সট্রিম ফান্ডামেন্টালিস্ট/দর্শন সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়া বন্ধ করেছিলাম এবং এখনো করি না। তবে এই পোস্টকে কেউ পলিটিকাল পোস্ট মনে করবেন না, এটি মানুষ আর অমানুষের ব্যবহার সংক্রান্ত পোস্ট।
কেউ আবার এগুলি তো সবাই করে বলে এই বাজে কাজকে জাস্টিফাই করবেন না প্লিজ।
অন্যায় অন্যায়ই, সে ছোট হোক আর বড়ো হোক।
এগুলিকে প্রশ্রয় দিয়ে আগামীতে ভালো প্রশাসন চাইবেন সেটা হবে না।
দয়া করে ২ টাকার জন্য বা একটু সুবিধা আদায়ের জন্য এমন কাজ করবেন না। এই সমস্ত পশুবৃত্তি থেকে বিরত থাকুন।
By they way, এখানে কেউ গালিগালাজ, অকথ্য ভাষা বা কোনো লিংক শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবেন। আমার এই লেখাকে প্লাটফর্ম করে নিজেদের মধ্যে অশোভন কোনো তর্কাতর্কিতে জড়াবেন না।
এই জাতীয় কাজ যেখানকার মানুষই করুক গর্হিত অপরাধ ! এবং অন্য কেউ অন্য জায়গায়ও যদি এমন করে তাদেরকেও আমি একই কথা বলবো।
টরন্টো, কানাডা