0.2 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

প্রধান বিচারপতির নিয়োগ

প্রধান বিচারপতির নিয়োগ
সৈয়দ রেফাত আহমেদ

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নিয়োগটি খুবই ভাল হয়েছে বলে আমি মনে করি। হবে নাই বা কেন! তিনি হলেন বাংলাদেশের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের ছেলে। সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে বিএ ও এম এ ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি আজ একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতার শুরুতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত শহিদদের স্মরণ করে বলেন, “সারা দেশের ছাত্র-জনতা ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছিলেন তাদেরও অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিগত সময়ে অন্যায়কে ন্যায় বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। বৈষম্যের বিরুদ্ধে মহাজাগরণের উন্মেষ ঘটিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফলে আমার কাঁধে যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা আমি পালন করে যাব।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে নতুন করে শুরু করতে হবে। এতদিন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে নিপীড়নের নীতি প্রচলিত ছিল। এখন থেকে কোনো ধরনের অন্যায় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্র-জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে বিজয় এসেছে, তার প্রতি সম্মান রেখে আমি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো।”

- Advertisement -

এখন দেশে যে বা যারাই নুতন নিয়োগ পাবেন কিংবা যাদেরকে নিয়ে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে সকলের উচিত এই একই ধরনের বক্তব্যে বিশ্বাস করা, ঐকমত্য পোষণ করা এবং প্রচার করা। কারণ নুতন সরকার ক্ষমতায় এসেছে একটা ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে। ফলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাখাওয়াত হোসেনের যে কথাগুলো নিয়ে আজ বিতর্ক শুরু হয়েছে তা সঠিক হলেও অসময়োচিত। ঐ কথাগুলো আসবে আরো কিছুদিন পর, এখন নয়। কেননা কেউ কেউ নুতন সরকার ও দেশকে মিথ্যা ও গুজব ছড়িয়ে অস্হিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এটাকে প্রতিরোধ করাই এখন প্রধান কাজ। তারপর দেশ যখন স্হিতিশীল হবে, রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হবে তখন অবশ্যই দরকার হবে রিকনশিলিয়েশনের কাজ। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, বরং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করে এই অন্তর্বর্তী সরকার বিদায় নিবে। কাজেই আমি বলবো, সকল সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উচিত মাননীয় প্রধান বিচারপতির মতই ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে সমর্থন ও অভিনন্দন জানানো এবং শহীদদের জন্যে শোক প্রকাশ করে প্রকাশ্য বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান করা। তাহলেই ধীরে ধীরে বিভিন্ন দল, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর মধ্যে অবিশ্বাস ও অনাস্হার ভাব কেটে গিয়ে সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরী হবে।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles