
সিটি কাউন্সিলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই কাউন্সিলরকে ভর্ৎসনা করা হতে পারে। তারা নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের যোগাযোগের তথ্য তাদের অনুমতি ছাড়াই নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছেন টরন্টোর ইন্টেগ্রিটি কমিশনার।
মেয়র অলিভিয়া চাউ, কাউন্সিলর ফ্রান্সেস নুনজিয়াটা, ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ড এবং অ্যান্থনি পেরুজ্জার বিরুদ্ধে আনা ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগের চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এরই মধ্যে দাখিল করেছেন জোনাথন ব্যাটি। ইন্টেগ্রিটি কমিশনার অলিভিয়া চাউকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলেও তার কর্মকর্তাদের ছাপানো ফ্লায়ার ভোটের আগের দিন বিতরণের মধ্য দিয়ে পেরুজ্জা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন। এগুলো বিতরণে বিধিনিষেধ থাকলেও ২০২২ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় তা মানা হয়নি।
তবে এই কাউন্সিলর নিজেই বিষয়টি জানানোয় এবং মীমাংসা করে ফেলায় তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেননি ব্যাটি। তবে নুনজিয়াটা এবং ব্র্যাডফোর্ড ভোটারদের কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত ইমেইল পাঠিয়েছিলেন। যদিও তারা এ ধরনের তথ্য পেতে নাইন আপ করেননি। ব্যাটি বলেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা আচরণবিধির দুটি অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন এবং কাউন্সিল যাতে তাদের ভর্ৎসনা করে সেই সুপারিশ করেছেন।
নুনজিয়াটার ক্ষেত্রে ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের মিউনিসিপাল নির্বাচনের সময়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসনের একজন বাসিন্দা কাউন্সিলরের নিউজলেটারের জন্য সাইন আপ করেছিলেন। তবে তার পুনরায় নির্বাচনী প্রচারণার যে ইমেইল তালিকা তাতে অন্তর্ভুক্ত হননি। তারপরও নির্বাচনের আগের দিন তারা নুনজিয়াটার প্রচারণা শিবির থেকে মেসেজ পেয়েছিলেন।
জানতে চাইলে নুনজিয়াটা প্রথমে ইন্টেগ্রিটি কমিশনারকে বলেন, অভিযোগটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার অফিসের এটা তদন্তের কোনো এখতিয়ার নেই এবং তার অফিসের মেইলিং অ্যাকাউন্ট তার নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হয়নি।
তবে তদন্ত শুরু হলে কাউন্সিলর এবং তার কর্মীকে তাকে পুরোপুরি সহযোগিতা করেন এবং সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন বলে জানান ব্যাটি।
পরবর্তী বৈঠকে সিটি কাউন্সিল ব্যাটির প্রতিবেদনটি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।