0.2 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

শর্টস পরে হাঁটব, আমিও কি তাহলে ধর্ষণযোগ্য- প্রশ্ন শ্রীলেখার

শর্টস পরে হাঁটব, আমিও কি তাহলে ধর্ষণযোগ্য- প্রশ্ন শ্রীলেখার
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র

রাখঢাক রেখে কখনোই কখা বলেন না টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানেন তিনি। সেটা হোক পথপশুদের উপর অত্যাচার কিংবা শরীর নিয়ে কোনো নোংরা আক্রমণ।

এবার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নারকীয় ধর্ষণ ও খুন নিয়েও সরব এই অভিনেত্রী। কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে বুধবার রাতেও রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

- Advertisement -

বুধবার ‘রাত দখলের’ পোস্টার শেয়ার করে অভিনেত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি থাকছি আর আপনি? অনেক হাঁটতে হবে, তাই কমফোর্টেবল থাকতে ভাবছি শর্টস পরে হাঁটব। রেপেবল (ধর্ষণযোগ্য) মনে হবে কি আমাকে?’

এদিকে, যে সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তার পাশের দেওয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল আরজি কর হাসপাতাল। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগও করা হয়।

সেই ইস্যুতেও পোস্ট করেছেন শ্রীলেখা। তিনি লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। কী সাহস এদের। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা সেমিনার হল ভেঙে। পশ্চিমবঙ্গ কী কারও বাবার সম্পত্তি নাকি? সবাই ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে না বসে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার মন্ত্রীদের পদত্যাগ দাবি করুন। বিচার সঠিকভাবে হোক।’

অপর একটি পোস্টে শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, ‘ঢং করা অরাজনৈতিক সুবিধাবাদীদের চিহ্নিত করুন। আরজি কর হাসপাতালে যেটা ঘটেছে সেটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ভুলে যাবেন না। যারা অন্য কোনো কথা বলছেন তারা ওই রেপিস্টের দলের লোক।’

বর্তমানে চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের তদন্তভার আদালত তুলে দিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। কলকাতা পুলিশের কাজে যে আদালত তুষ্ট নয়, সেটাও স্পষ্ট বোঝা গেছে। সকলেই চাইছেন, আসল দোষীর শাস্তি হোক।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles