10.7 C
Toronto
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

নিপুণকে জেতাতে ফোন করেছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও

নিপুণকে জেতাতে ফোন করেছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও
নিপুণ আক্তার ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

সকাল থেকেই ঘটনাটা চাউর হয়েছে। ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণকে জয়ী করতে ১৭ বার ফোন করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিম। যদিও সেই নির্বাচনে প্রাথমিক ভোট গণনায় সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ও জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন। জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে পরাজিত হন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

কিন্তু ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু সেখানেও একই ফল পায় আপিল কমিটি। পরে ঘটনা মামলায় গড়ায়। আদালত থেকে রায় নিয়ে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসেন নিপুণ।

- Advertisement -

তিনি পুরো সময় দায়িত্ব পালন করেন। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে নিপুণকে জয়ী করতে নির্বাচন কমিশনারদের ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখান রাজনৈতিক নেতারা। এমনকি নিপুণকে জয়ী করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পীরজাদা হারুনকে ১৭ বার ফোন করেন শেখ সেলিম। শুধু তিনি (শেখ সেলিম) নন, নিপুণকে জয়ী করতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামলও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ফোন করেছিলেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পীরজাদা হারুন বলেন, ‘২০২২ সালের নির্বাচনে যখন ভোট গণনা করা হচ্ছিল তখন শেখ সেলিম ১৭ থেকে ১৯ বার আমাকে ফোন করেছিলেন। আমার সঙ্গে তার কয়েকবার কথাও হয়েছে। ওই রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও আমাকে ফোন করেছিলেন। তাদের দুজনের উদ্দেশ্যই ছিল এক।’

পীরজাদা হারুন আরো বলেন, “ওই নির্বাচনে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, যা তাকে মানসিকভাবে এখনো আতঙ্কিত করে।

নির্বাচনে নিপুণকে জয়ী দেখাতে অনেক ওপর থেকে এক ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদ একের পর এক ফোন করতে থাকেন। তিনি সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়ে সরাসরি প্রভাব খাটাতেন, নিয়ন্ত্রণ করতেন বলা যায়। কিন্তু আমি সরাসরি ‘না’ বলে দিই।”

পরবর্তী সময় মোবাইল ফোনে ভয়ও দেখানো হয়, এমনকি বড় অঙ্কের অর্থের লোভ দেখানো হয় উল্লেখ করে হারুন বলেন, ‘তখন একের পর এক ফোনে আমাকে ভয় দেখানো হয় যে তুলে নিয়ে যাবে। পরে একটা জায়গায় যেতে বলেন, যেখানে বড় অঙ্কের টাকা রাখা ছিল। যখন রাজি হলাম না, তখন ফলাফল নিয়ে মামলা করা হলো। সেটা চলে গেল কোর্টে। তখন নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাকে বানিয়ে দেওয়া হলো অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। নানা কাণ্ডে আমাকে ছোট করা হলো, এফডিসিতে নিষিদ্ধ করা হলো।’

আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এলে বদলে যান ঢালিউড অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার চলাফেরা বাড়তে থাকে। সেই সময়ই পরিচয় হয় শেখ সেলিমের সঙ্গে। ২০১২ সালে বনানীর অভিজাত এলাকায় নিপুণের গড়ে তোলা নিজস্ব পারলার উদ্বোধন করেন তিনি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles