
সাকিব আল হাসানের মাথায় ওপর হত্যা মামলা খড়গ। মানসিকভাবে কিছুটা চাপে থাকারই কথা। তবে এমন বিতর্কও মাঠের খেলায় সেটা কোনোভাবে প্রভাব ফেলেনি। যার প্রমাণ আজ ৪০ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকারই। আর এই তিন উইকেটে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে। টেস্ট ক্রিকেটে বাঁ হাতি স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারেরই।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ৫ম দিনে রেকর্ডের পাতায় নিজের নামটা তুলেছেন সাকিব। শেষদিনের প্রথম সেশনে তুলে নেন ২ উইকেট। পরের সেশনে আরও একটি। এই মুহূর্তে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ৭০৭।
সাকিব পেছনে ফেলেছেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে। ৩০৫ ওয়ানডে, ৩৬২ টেস্ট আর ৩৮ টি-টোয়েন্টি উইকেট মিলিয়ে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার ছিল ভেট্টরির। রাওয়ালপিন্ডিতে আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট নিয়ে কিউই স্পিনারকে পেছনে ফেললেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।
সিরিজের প্রথম টেস্ট সাকিব শুরু করেছিলেন ৭০৩ উইকেট নিয়ে। ২৩৭ টেস্ট, ৩১৭ ওয়ানডে আর ১৪৯টি টি-টোয়েন্টি উইকেট ছিল তার নামের পাশে। এরপর প্রথম ইনিংসে সালমান আলী আঘার উইকেট শিকার করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌদ শাকিলকে ফেলেন স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে।
সাকিবের সামনেই ক্যারিয়ারের প্রথম ডাক মেরেছেন সৌদ শাকিল। এই উইকেট দিয়ে ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে স্পর্শ করেন সাকিব। আর এর কিছুক্ষণ পরেই আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট নিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন তিনি।
আর এই তালিকায় সাকিব পাশে পাচ্ছেন ক্রিকেটের সব অলটাইম গ্রেটকে। ডানহাতি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবে আছেন ইংল্যান্ডের জিমি অ্যান্ডারসন। তার উইকেট ৯৯১টি। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট ওয়াসিম আকরামের। কিং অব সুইংয়ের উইকেট ৯১৬টি।
ডানহাতি স্পিনারদের মাঝে সর্বোচ্চ উইকেট শ্রীলঙ্কার স্পিন উইজার্ড মুত্তিয়া মুরালিধরনের। ১ হাজার ৩৪৭ উইকেট নিয়ে বাকি তিনজনের চেয়ে ঢের এগিয়ে মুরালিধরন। আর সাকিব আল হাসানের উইকেট এই মুহূর্তে ৭০৬টি।