9 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

অভিনন্দন নিয়াজ ভাই!

অভিনন্দন নিয়াজ ভাই!
অভিনন্দন নিয়াজ ভাই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে আন্তরিক অভিনন্দন। নিয়াজ ভাই এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। অধ্যাপক ড. খান মর্যাদাপূর্ণ কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তী সময়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পাদন করেন।

ড. নিয়াজ যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন এলিজাবেথ হাউজে ‘দক্ষিণ এশীয় ফেলো’, ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিসার্চ ফেলো’, মিশরের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ইন কায়রোতে ‘ডিস্টিংগুইশড ভিজিটিং রিসার্চার’, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ‘ডিস্টিংগুইশড ভিজিটিং প্রফেসর’, থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ‘এশিয়ান রিসার্চ ফেলো’, এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির ‘ভিজিটিং স্কলার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আমেরিকান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, যুক্তরাজ্য সরকারের সোয়ানসি-বে রেশিয়াল ইকুইটি কাউন্সিল, এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রকল্প, ও কর্মসূচিতে উপদেষ্টা ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন।

- Advertisement -

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর প্রোভাইস-চ্যান্সেলর এবং চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে তার কর্মজীবন তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য অনন্যভাবে প্রস্তুত করেছে।

তিনি দুই শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের লেখক। এছাড়াও তার তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশে এবং বিদেশে ১৭ জন পিএইচডি গবেষক এবং ৮ জন এমফিল গবেষক গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান নিয়মিতভাবে সরকারের উচ্চপর্যায়ে এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন কমিটি ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক, গবেষণা নির্দেশক, ও শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে প্রধান জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন: ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি, ফরেন সার্ভিস একাডেমি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বন একাডেমি, আর্মি আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, এবং বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি একাডেমিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি আরণ্যক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ-এর বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যান।

তার শিক্ষা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠা নিঃসন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন উচ্চতা এবং উদ্ভাবনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নিয়াজ ভাই, আপনাকে আবারও অভিনন্দন! আপনার নতুন ভূমিকায় সাফল্য কামনা করি। মহান আল্লাহ আপনাকে দায়িত্ব সফলভাবে পালন করার তৌফিক দান করুন।

পারিবারিক পরিচিতি
চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার বিখ্যাত চুনতি গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে অধ্যাপক নিয়াজ খানের জন্ম। তার প্র-পিতামহ খান বাহাদুর নাসির উদ্দিন খান অবিভক্ত ভারতের একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন। পিতামহ কবীর উদ্দিন আহমেদ খান ছিলেন আসাম-বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের ডেপুটি কালেক্টর ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। এই কারণে, তাদের বাড়িটি অত্র এলাকায় ‘ডেপুটি বাড়ি’ হিসেবে পরিচিত।

অধ্যাপক নিয়াজ খানের পিতা ড. শফিক আহমদ খান ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি গত শতকের ষাটের দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ রসায়ন বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ইউরোপের সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিস্টিংশনসহ ডি.এস.সি ডিগ্রী লাভ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি পাকিস্তান সুপিরিয়র ফরেস্ট সার্ভিসে এবং পরে বিসিএস (বন) ক্যাডারে যোগ দেন। বন সংরক্ষক হিসেবে চাকুরীরত অবস্থায় ১৯৯২ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট্রি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles