
বন্ধুত্ব, বিয়ে বা একসাথে থাকা যা-ই হোক, দু’জন মানুষের মধ্যে একটি সম্পর্ক হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক জিনিসগুলোর একটি। তবে এটা গড়ে তুলতে পারাটা কিন্তু হতে পারে সবচেয়ে কঠিন জিনিসগুলোর একটি। একজন স্বামীর দায়িত্ব স্ত্রীকে সুখী রাখা। একটা সম্পর্ক কীভাবে গড়ে ওঠে এর কোনো বাঁধা ধরা ফর্মুলা নেই। তবে এই বিষয়ে অনেক পুরুষই উদাসীন। তারা বুঝতেই পারেন না তাদের স্ত্রী ভালো রয়েছে কিনা। দাম্পত্যকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে একে অপরকে সঙ্গে নিয়ে ভালো থাকতে হবে।
তাই পরিস্থিতি জটিল দিকে যাওয়ার আগেই নিজের স্ত্রীর মতিগতি বুঝে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে তার মধ্যে যদি নিচের লক্ষণগুলো দেখেন, তাহলে বুঝে নেবেন সম্পর্কে ভালো নেই। আর তখনই আপনাকে তার মন জয়ের কাজে লেগে পড়তে হবে।
কথা বলা বন্ধ
আমরা পছন্দের মানুষের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসি। আমরা চাই, এই মানুষগুলো যেন আমাদের সারাদিন ঘিরে থাকেন। তাই নিজের সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে আমরা পছন্দ করি। কিন্তু অনেক সময়ই দূরত্ব তৈরি হলে এই ভাষার ব্যবহার কমতে থাকে। তখন পাশাপাশি থাকার পরও একে অপরের সঙ্গে কথা বলা যায় না। তাই স্ত্রী কথা বলা বন্ধ করলে অবশ্যই সচেতন হন। চেষ্টা করুন কথা বলার। তিনি কী বলতে চাইছেন, তার মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। তাকে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নও করতে পারেন। তিনি যা উত্তর দেবেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। ব্যস, এই কাজটা করলেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। আপনাকে ফের ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবেন স্ত্রী।
সম্মান অনুপস্থিত
সম্পর্ককে সঠিক অভিমুখে দিশা দেখাতে পারে পরস্পরের প্রতি থাকা সম্মান। আপনারা নিজেদের সম্মান দিতে পারলেই দেখবেন অনায়াসে সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পেরেছেন। তবে অনেকেই সেই কাজটা করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে জীবনে জটিলতা তৈরি হয়ে যায়। তাই একবার ভেবে দেখুন তো স্ত্রী আপনাকে সম্মান করছেন কিনা! না করলে সঠিক ব্যবস্থা নিন। নিজেদের সমস্যা খুঁজে বের করুন।
প্রতিদিন ঝগড়া করে
সম্পর্কে থাকতে গেলে ঝামেলা-অশান্তি হতেই পারে। এই বিষয়টা নিয়ে সত্যিই ভাবার কিছু নেই। তবে তা যদি রোজ রোজ হয়, স্ত্রী যদি কথায় কথায় আপনার বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘোষণ করেন, তাহলে যে সম্পর্কে নজর ফেরাতেই হবে। কারণ, তাঁর এই আচরণের পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে। তিনি হয়তো সম্পর্কে আর ভালো নেই। তাই রোজ রোজ এমনটা হলে যত দ্রুত সম্ভব স্ত্রীর মনের খবর নিন। নইলে পরিস্থিতি খারাপ দিকে যেতে সময় লাগবে না।
ঘন ঘন বাবার বাড়ি যান
আপনার প্রতি বা আপনার পরিবারের প্রতি টান না থাকলে স্ত্রী তার বাবার বাড়িতেই বেশি সময় কাটাবেন। সেখানকার মানুষগুলিকে আকরে ধরেই তিনি বাঁচতে চাইবেন। তাই এই বিষয়টার দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন। আর আপনার স্ত্রীরও যদি এই ধরনের কার্যকলাপ থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা বাড়ান। তাঁকে প্রেমে ভুলিয়ে রাখুন। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
রোমান্স নেই
সম্পর্কে একে অপরের কাছে থাকতে হবে। এই কাছাকাছি থাকার ইচ্ছে সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে পারে। আর বিজ্ঞানও বলছে সেই এক কথাই। মনোবিজ্ঞান জানাচ্ছে, শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে জরুরি। তাই স্ত্রী যদি হঠাৎ করে রোমান্স থেকে দূরে যেতে থাকেন, তবে সচেতন হয়ে যান। বুঝে নিন, তার ভালোবাসা কমছে। এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে অবশ্যই সঠিক ব্যবস্থা নিন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন।
বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন
নিজের উদ্যোগে এই সমস্যার সমাধান না করতে পারলে দুজনে মিলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। তাঁকে গোটা বিষয়টা খুলে বলুন। এরপর তিনি যা নিদান দেবেন, তা মেনে চলুন। তাহলেই দেখবেন ধীরে ধীরে সব কিছু বদলে যাবে। আপনারা আবার নতুন করে শুরু করতে পারবেন। বেঁচে যাবে আপনাদের দাম্পত্য। তাই ঝটপট এই কাজে লেগে পড়ুন।