4.7 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১৯, ২০২৫

মন্ত্রিপাড়ায় ঢুকে ঘুম পাড়ানোর প্রসঙ্গে কাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু?

মন্ত্রিপাড়ায় ঢুকে ঘুম পাড়ানোর প্রসঙ্গে কাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু? - the Bengali Times
আবারও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন অভিনেত্রী ছবি সংগৃহীত

চিত্রনায়িকা ও উপস্থাপিকা জাহারা মিতুর সম্পর্কের প্রসঙ্গ এখন টক অব দ্য টাউন। মিতুকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে শুরু করে গণমাধ্যমের পাতায় চলছে বেশি আলোচনা-সমালোচনা। সমালোচনা শুরু হয় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরই। সাবেক সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে নানা ‘চটকদার’ শিরোনামে খবর প্রচার হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

সেই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ওবায়দুল কাদেরকে নিজের অভিভাবক মানতেন মিতু। তাদের দু’জনের মধ্যে ছিল বেশ ভালো সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে একটি গণমাধ্যম আরও একধাপ এগিয়ে ‘নায়িকা জাহারা মিতুর স্পর্শ ছাড়া ঘুমাতেন না ওবায়দুল কাদের’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ ভিডিও প্রকাশ করে।

- Advertisement -

সেই নিউজটার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন মিতু। তিনি লিখেছেন, ‘ডিজিটাল যুগে সবকিছুর রেকর্ড থাকে। আমার বাসা থেকে বের হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ যেমন থাকবে, আমি কোথাও গেলে সেটারও রেকর্ড থাকবে। কললিস্টেরও রেকর্ড থাকে। এসব বুঝে শুনে নিউজ করতে হয়। দেশের সর্বোচ্চ একজন মন্ত্রীকে, মন্ত্রীপাড়ায় প্রতিদিন ঘুম পাড়ানোর নিউজ কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ সবজী সেবনের ফলেই লেখা যায়। এর থেকে হাস্যকর নিউজ আমি আমার বাপের জন্মে দেখিনি, সত্যিই দেখিনি।’

সমালোচনা যখন তার পিছু ছাড়ছে না তখন তিনি আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘একটা আজব স্ক্রিপ্ট দিয়ে শুরু আজকের এই অবস্থা, একটা তৃতীয় সারির অনলাইন পোর্টাল যার নামও আমি এর আগে কখনো শুনিনি। হয়ত ওই নিউজটাই তাদের সবচেয়ে দ্রুত ভিউ পাওয়া একটি নিউজ।’

মন্ত্রিপাড়ায় ঢুকে ঘুম পাড়ানোর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘কোনো সোর্স কিংবা প্রমাণ ছাড়াই মন্ত্রিপাড়ায় ঢুকে ঘুম পাড়ানোর মতন দুর্বল স্ক্রিপ্ট, সেইসাথে দুর্দান্ত কাস্টিং। আর কি লাগে? ভিউয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট। যখন সোর্স কি জিজ্ঞাসা করা হলো, উত্তর এলো সবাইতো বলে। এই সবাইতো বলে, এটা নাকি কোনো সোর্স?’

জাহারা মিতুর ভাষ্য, ‘অথচ সবাই জানলোই তার ওই স্ক্রিপ্ট দিয়ে, তার আগে কেউ কিছু জানেই না। যাই হোক, খুঁজতে থাকলাম এই স্ক্রিপ্ট এর রচয়িতা কে? একটি ছবি পেলাম হাতে। রচয়িতার ছোট্ট মেয়ে কোলে বসে আছে। বাবার কোলে মেয়ে। আমার আব্বু নেই, তাই হয়ত ছবিটা দেখে রাগ কিছুটা কমে গিয়েছিলো। ভেবেছিলাম ছবিটা দিয়েই পোস্ট দিবো, সাংবাদিকতার লাল-হলুদ-নীল রং নিয়ে কথা বলবো। তবে থেমে গেলাম এই ছোট্ট মুখটার দিকে তাকিয়ে।’

পোস্টের শেষে মিতু লিখেছেন, ‘দোয়া করি মা, তোমার বাবা যেভাবে একটা মেয়ের বদনাম রটিয়েছে তা তোমার ভাগ্যে কখনো না জুটুক। তোমার নামে কেউ কখনো মিথ্যা অপবাদ না দিক, আল্লাহ যেন তোমাকে কোনো পাড়া-প্রতিবেশীরও মিথ্যা অপপ্রচারের ভাগীদার না করে। বড় হও, তবে বাবাকে এসব অপরাধের জন্য ঘৃণা করো না, হয়ত তোমার মুখে ভাত তুলে দিতেই আজ তার এই অবস্থা।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles