
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার কথা শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহ নিতে আসেন মামাত বোন আসমা আক্তার তানিয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে যখন তোফাজ্জল হোসেনকে মারধর করা হচ্ছিল তখন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য তিনি স্বজনদের নম্বর দিয়েছিলেন।
খবর পেয়ে তোফাজ্জলের মামাত বোন আসমা আক্তার তানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক ছাত্রের নম্বরে ফোন করে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে বলেন, ‘ও পাগল’। তখন ফোনে থাকা ছাত্রটি বলেন, “পাগলে এত নম্বর মনে রাখে ক্যামনে?”
তানিয়ার অভিযোগ, এরপর তাকে আরও বেশি করে মারধর করা হয়।
মামাত ভাই বাঁচাতে ফোনে ছাত্রদেরকে আকুতি মিনতি করেন তানিয়া। জানান তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার কথা, কিন্তু কেউ কথা শোনেনি, বরং তোফাজ্জলের ফোন নম্বর মুখস্থ থাকার কথা বারবার বলতে থাকে তারা।
তোফাজ্জলের স্বজনেরা বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসেছিলে মরদেহ নিতে। তারা বলছেন, হলের ছাত্ররা তোফাজ্জলের কাছ থেকে নম্বর নিয়ে তাদের ফোন করে তার মুক্তির জন্য টাকা চেয়েছিল। আর তার কেন এত নম্বর মুখস্থ, সেজন্য আরও মারধর করে।
মধ্যরাতে যখন তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয় ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে ছিল মারধরের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন।
ঢাকা মেডিকেল মর্গে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কাজী গোলাম মোকলেসুর রহমান বলেন, নিহতের সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।