
আমাদের ছোট কন্যাটি এবার দশম গ্রেডে উঠল। সে অনেকটা গিফটেড চাইল্ড। মেধাবী।
পড়ালেখায় কেমনে যে সে ভালো করে, আমার আর রুপার মাথায় তা ধরেনা। কারন আমরা তাকে বাসায় কোন পড়ালেখা করতে দেখিনা।
অথচ গ্রেড নাইনের ইংরেজী বিষয়ে সে ৯৮% নম্বর পেয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছ থেকে এ্যাওয়ার্ড অব এক্সসেলেন্স সার্টিফিকেট পেয়েছে। অংকেও সে খুব ভালো।
এমন কি ফরাসী ভাষাতেও সে খুব ভালো। নাইন গ্রেড থেকে টেন গ্রেডে উঠতে সে অনার রোল পেয়েছে। অন্যান্য বিষয়েও ৯০ শতাংশের উপরে নম্বর পেয়েছে, তা না হলে তো অনার রোলে থাকার কথা নয়।
স্কুলের কোন বিষয়ে কখনোই কোন সমস্যার কথা সে বলেনা। কোন কোচিং, কোন প্রাইভেট টিউটরের প্রয়োজনের কথাও বলেনা। আমরাই বরং তাকে জিজ্ঞাসা করি তোমার এ ধরনের কোন হেল্প লাগবে কীনা?
সে বলে, লাগবেনা।
পিতামাতা হিসেবে আমরা তাকে যে হেল্পটুকু করি তাহল, তাকে সকালে স্কুল শুরুর আগে গাড়িতে করে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আসি, আর স্কুল ছুটি হলে আবার নিয়ে আসি।
সে স্কুলে কোন টিফিনও নিয়ে যায়না।সকালে নাস্তা খেয়ে যায় আর বাসায় এসে লাঞ্চ খায়। আবার আমাদের কাছ থেকে কোন টাকাপয়সাও চায়না যা দিয়ে সে টিফিন কীনে খেতে পারে। মাঝে মাঝে আমিই তাকে ৫/১০ ডলার দেই।
তার সাফল্যের পিছনে আমাদের পিতামাতার তেমন কোন ক্রেডিট নেই। আমরা শুধু তার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, নিরাপত্তা, নিয়ন্ত্রন, স্বাধীনতা ও শর্তহীন আর নিরবিচ্ছিন্ন ভালোবাসা দিয়ে যাচ্ছি। যা হয়ত সব বাবা-মায়ের স্বাভাবিক ও আটপৌঢ়ে দায়িত্ব।
শেষ কথা হল, এ রকম কম চাহিদাসম্পন্ন বাচ্চা দশটাবিশটা এক সাথে লালনপালন করা অসম্ভব কিছু না।
এটা অবশ্য আমার ধারনা। আমার বউয়ের মতামত অন্যরকম হতেই পারে।
স্কারবোরো, কানাডা