
অবৈধভাবে করণাকালীন সরকারি বেনিফিট নেওয়ার অভিযোগে কানাডা রেভিনিউ এজেন্সি’র ৩০০ কর্মকর্তা চাকরি হারালেন !!!
পান্ডামিকের সময় কানাডার ফেডারেল সরকার প্রতি মাসে কানাডিয়ান নাগরিকদের, বিশেষ করে যাদের স্বল্প আয় অথবা কোরোনার কারণে চাকরি হারিয়েছিলেন তাদেরকে কিছু টাকা দেন। এই টাকার আবেদনের জন্য কিছু criteria ছিল। এই টাকাগুলি কানাডা রেভিনিউ এজেন্সি’র মাধ্যমেই দেওয়া হয়। সরকারের এই এজেন্সী আমাদের আয়কর এবং এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে।
যাহোক, ওই সময় ওই ৩০০ কর্মকর্তা ভুয়াভাবে নিজেদের এলিজিবল বা যোগ্য দেখিয়ে ওই টাকা উঠান। অনুসন্ধানে সত্যতা মিললে তাদেরকে ছাটাই করা হয়। আজকে আমাদের এখানকার টেলিভিশনের জাতীয় খবরে সেটি প্রকাশ করা হয়।
এই চুরিকে কিন্তু আপনি পুকুর চুরি বলতে পারবেন না, পুকুর চুরির একটু নিচে, তারপরেও ওই চোরদের খেসারত দিতে হলো। কিন্তু আমাদের দেশের মতো দেশে পুকুর তো দূরে থাকে সমুদ্র চুরি করেও কোনো অসুবিধা হয় না।
তদন্ত কমিটি, দুদক ইত্যাদি কিছু শুনি নাই, জাস্ট শুনলাম তারা ছাটাই। খুব বেশি দিন হয়নি কোরোনার প্রকোপ কমেছে, কিন্তু ইতিমধ্যে অনুসদ্ধান করে তাদের উপযুক্ত শাস্তির বেবস্থা হয়েছে।
বিগতদিনে আমাদের জন্মদেশে যে পরিমান নদী-নালা-খাল-পুকুর-সমুদ্র চুরির মত ঘটনা ঘটছে, সেই তুলনায় কিন্তু এখনও তেমন কোনো লোকের চাকরি যায় নাই। হয়তো হাতে গোনা কয়েকজন কেবল আদালতে গেছে।
এই রকম যদি ২/১ হাজার চোর ছাটাই হতো তাহলে কিছুটা হলেও চোরেরা একটু সাবধান হতো !
এরকম দুটি দেশের সাথে হয়তো অনেক ক্ষেত্রে তুলনা করা চলে না, কিন্তু কিছুটাতো আশা করতে পারি।
পাকিস্তান গেলো বাংলাদেশ এলো, চোরেরা ঠিকই চাপলিছে নতুন সরকারে ঢুকে গেলো। মুজিব গেলো, জিয়া এলো, আবারো চোরেরা সেখানে ঢুকে গেলো, এরশাদ এলো আবারো চোরেরা সেখানে ঢুকে গেলো এবং সংখ্যাই বৃদ্ধি পেলো, এরশাদ গেলো আবার খালেদা জিয়া এলেন, সেখানেও চোরেরা ঢুকে গেলো এবং সংখ্যায় বাড়লো, উনি চলে গেলেন এবার হাছিনা এলেন এবং সেই চোরেরা এখানেও ঢুকে গেলো কিন্তু এবার তাদের সংখ্যা বেড়ে গেলো শত শত গুন্ এবং সমুদ্র থেকে মহাসমুদ্র চুরিতে রেকর্ড করতে থাকলো।
অবশেষে উনারও বিদায় হলো কিন্তু চোরেরা রয়ে গেলো এবং আবারো ঢুকে গেলো নতুন সরকারে !!
এখন দেখা যাক !!! যেসব চোরেরা রয়ে গেছে তাদেরকে নতুন সরকার ফ্রি টিকেট দেন নাকি ছাটাই করেন।
আশা করি নতুন সরকার দলমত নির্বিশেষে চোরের উৎখাত করবেন ! যদিও সেই আশা কিছুটা সিদ্ধ নুডলস এর মতো !!!
স্কারবোরো, কানাডা