
বাংগালীর কলিজা তাঁদের নিজের দেহের চাইতেও অনেক বড়ো। যদি তা-ই না হবে তাহলে বাঁশের লাঠি দিয়ে দেশ স্বাধীন করার স্বপ্ন কেউ দেখে!!
সেই কলিজার ওপর ভর করে অনেকেই বিশাল সাহসের কাজ করে ফেলেন। এখানে এই কানাডায় অনেকেই তেমন সাহস দেখান।
ডানভিলের গ্রাণ্ড রিভারে রাতের আধারে ঝাকি জাল দিয়ে মাছ ধরার সাহসী মহোৎসবে মেতেছিলেন তিন রত্ন। বেরসিক পুলিশে হাতে ধরা পড়ে গেলেন। এরেস্ট হননি। কারণ, মান-সম্মানধারীর মান আল্লাহই বাঁচায়।
জাল বাজেয়াপ্ত, মাছ বাজেয়াপ্ত, বড়শীর সাথে সাথে মাছ ধরার যা কিছু ছিলো সেগুলোর সবই বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেছে। গাড়ী সিজ করার হুমকি দিয়েছিলো–প্রয়োগ করেনি।
অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য প্রতিজনকে এক হাজার ডলার জরিমানা করেছে। একজন কেবল দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁকে বারো শত আশি ডলার জরিমানা করা হয়েছে। তিনি লাইসেন্স করেননি এবং অবৈধভাবে মাছ ধরেছেন।
শুধুমাত্র স্মেল্ট ফিস, সারডিন, সাকার, মিনোজ আর কার্প জাতীয় মাছ ডীপনেট জাতীত জাল দিয়ে ধরার অনুমতি আছে। তবে ডীপনেটের আকার ছয় ফিট বাই ছয় ফিটের বেশী হতে পারবে না।
অনেক কলিজাবান ব্যক্তি বালতির বালতি মিনোজ ধরে আনেন। কেচকি মাছ বা গুড়া মাছ মনে করে খান আবার বিয়াই মহলে বিলান। গত বছর বিভারটনে এক বালতি মিনোজ ধরে তিনজনের প্রত্যেকে পাঁচ হাজার ডলার জরিমানা খেয়েছেন। আদালতে যাবার পরে প্রত্যেকে চার হাজার করে সেই জরিমানা দিয়েছেন।
এবার নায়াগ্রা অ ন দ্যা লেকে সারডিন ধরায় অবৈধ ঝাকি জালের মহোৎসব হচ্ছে। আমি ছাড়া আর সবাই জাকি জাল দিয়েই কাজ সারছেন। কখন যে কার কপালে কী আছে কে জানে!!!
তবে সবাই সতর্ক থাকে। রাতের আঁধারে কোনো একটা গাড়ী এলেই সবাই জাল রেখে অপেক্ষা করেন আর দেখেন সেটা পুলিশের গাড়ী না কি অন্য কেউ। নিশ্চিত হয়ে আবার লেগে পড়েন।
কলিজাবান রত্নগণ জানেনই না যে, পুলিশ এখন দূর থেকে দেখে, ছবি তুলে, নিশ্চিত হয়ে তারপরে সামনে এসে দাঁড়ায়। মিথ্যা কথা বললে জরিমানার পরিমাণ দুই গুন করে দেয়।
মাছ ধরার একটা আইন আছে । সেটা বুঝে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন। একটা Provincial Offence আপনার পেশাগত ক্যারিয়ারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ভালো চাকরী পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। গাট্টি-বোচকা বেঁধে দেশেও পাঠিয়ে দিতে পারে।
সুখ যেনো অসুখে পরিণত না হয়ে যায়।
টরন্টো, কানাডা