
আজও বুকের মধ্যে সেই রাতের তীব্র বেদনাটা অনুভব করছি। ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর রাত দশটায় যখন ফোনে খবরটা এলো—আম্মা আর নেই—আমার চারপাশ যেন অন্ধকারে ঢেকে গেল। মনে হয়েছিল, পৃথিবী থমকে গেছে। আম্মাকে হারানোর এই শোক, এই অপ্রতিরোধ্য বেদনা আমি আজও ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না।
মায়ের বিদায় মুহূর্তে পাশে থাকতে না পারা, জানাযায় অংশ নিতে না পারা, কবর দিতে না পারা—এই অভাবিত শূন্যতা আমাকে প্রতিটি মুহূর্তে তাড়া করে। এই অপরাধবোধ যেন একটা বিশাল বোঝা, যা আমি গত আট বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছি, আর হয়তো বাকি জীবনটাও কাটবে এভাবেই। প্রবাসীদের জীবনে এমন মুহূর্তগুলো চরম নির্মম। বিদেশে থাকা অবস্থায় প্রিয়জনকে চিরতরে হারানো, আর সেই সময়টা একা সহ্য করা—এ এক ভিন্ন ধরনের নিষ্ঠুর বাস্তবতা।
আম্মার স্নেহ, ভালোবাসা, আমার জীবনের প্রতিটি অর্জনে তাঁর অবদান, সবই যেন আজও আমাকে তাড়া করে ফেরে। তাঁর অভাব কোনোদিন পূরণ হওয়ার নয়। আজ, এই দিনটিতে, আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার আম্মাকে জান্নাতের উচ্চতর স্থানে স্থান দেন, তাঁর সমস্ত ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করেন, এবং তাঁকে শান্তির আবাসে রাখেন। আম্মা, আপনার জন্য হৃদয়ের গভীর থেকে দোয়া রইলো—”রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।”
আমার বুকের গভীর এই বেদনাটা বয়ে বেড়াচ্ছি, আম্মা যা হয়তো আপনাকে আবার না দেখা পর্যন্ত কখনো থামবে না। আল্লাহ, আমার আম্মাকে ভালো রাখুন।
স্কারবোরো, কানাডা