
আগাম অনুরোধ অন্তর্ভুক্ত করে স্বেচ্ছামৃত্যুর আওতায় সম্প্রসারণের জন্য ফেডারেল সরকার এই ফলে পরামর্শ গ্রহণ শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক হল্যান্ড। তিনি বলেন, তবে এ ধরনের অনুরোধ এখন পর্যন্ত ফৌজদারিতে দ-বিধিতে অবৈধ। যদিও কুইবেক এটি চর্চা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কুইবেক সরকার গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় বলে, যেসব ব্যক্তি ডিমেনশিয়া অথবা আলঝেইমারের মতো অসুস্থতায় ভুগছেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্য চূড়ান্ত অবনতির আগেই তারা স্বেচ্ছা মৃত্যুর জন্য অগ্রিম আবেদন করতে পারবেন।
পার্লামেন্ট হিলে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক হল্যান্ড বলেন, আমরা খুব পরিস্কার করে যেটা বলতে চাই তা হলো এটা অবিশ^াস্যরকম কঠিন সমস্যা। এ নিয়ে জাতীয় সংলাপের জন্য আমাদের সময় নেওয়া প্রয়োজন। এই সংলাপে আমাদের প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক সহকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। ব্যবস্থাটি এখনো প্রস্তুত কিনা সেটা নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনি যদি আগাম আবেদন করতে চান এই দেশে সেটা হবে আইনত অবৈধ। এটা যে বৈধ নয় ফৌজদারি দ-বিধিতে তা স্পষ্ট করে বলা আছে।
কোনো চিকিৎসক যতক্ষণ প্রাদেশিক আইন পরিপালন করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরেেনর অভিযোগ গঠনের পথে না হাঁটার জন্য প্রাদেশিক ক্রাউন প্রসিকিউটর কার্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কুইবেক সরকার।
হল্যান্ড বলেন, প্রাদেশিক প্রসিকিউশনের নির্দেশ দেওয়ার মতো অবস্থানে তিনি নেই। কুইবেক যে ইস্যুটি সামনে এনেছে সেটা যে বৈধ এবং ন্যায়সঙ্গত সেটা নিশ্চিত করতে সহযোগিতার মানসিকতা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্স ইন ডাইংয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে সম্মতি দিচ্ছেন প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নকারী স্বাস্থ্যকর্মীকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে রোগীকে তার অনুরোধ প্রত্যাহারের একটি সুযোগ দিতে হবে।
স্বেচ্ছা মৃত্যুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আরও কিছু মানদ- পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোন দিনে তারা মরতে চান সে বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে একটি চুক্তিকে পৌঁছানো।
হল্যান্ড বলেন, নভেম্বরে এ বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ শুরু করবে ফেডারেল সরকার। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য পেশাজীবী এবং প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও পরামর্শ করবে সরকার।
২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষ নাগাদ পরামর্শ গ্রহণের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। স্প্রিংয়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.