
প্রায় ভারসাম্যপূর্ণ বাজেট দিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ করেছে অন্টারিও। এর কারণ মূলত কলেজগুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি টিউশন ফি আহরণ।
অর্থমন্ত্রী পিটার বেথলেনফালভি এবং ট্রেজারি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ক্যারোলাইন মালরোনি ১৯ সেপ্টেম্বর পাবলিক অ্যাকাউন্টস প্রকাশ করেছেন। এটা হচ্ছে গত অর্থবছরের মোট রাজস্ব ও ব্যয়ের চূড়ান্ত হিসাব। এতে দেখা গেছে, মাত্র ৬০ কোটি ডলার বাজেট ঘাটতি নিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ করেছে অন্টারিও। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ছিল যেখানে ১৩০ কোটি ডলার।
২০২৩ অর্থবছর শেষে যে প্রত্যাশা ছিল রাজস্ব আহরিত হয়েছে তার চেয়ে ১৬০ কোটি ডলার বা আট শতাংশ বেশি। এতে প্রভাকের ভূমিকা পালন করেছে কলেজগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব। এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
এই রাজস্ব অন্যান্য করমুক্ত রাজস্বের অংশ, যার পরিমাণ প্রাক্কলনের চেয়ে ৩৪০ কোটি ডলার বেশি। এই বৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কম কর রাজস্বের যে ক্ষতি তা পুষিয়ে দিতে সাহায্য করেছে।
ইউনিভার্সিটি অব অটোয়াভিত্তিক থিংক ট্যাংক স্মার্ট প্রোস্পারিটি ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে অন্টারিওর বিশ^বিদ্যালয়গুলো দ্বিগুণ এবং কলেজগুলো তিনগুণ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে।
অন্টারিওর পোস্ট সেকেন্ডারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে কলেজগুলো রাজস্বের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ২০১৯ সালে অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ১০ শতাংশ হ্রাস এবং তা একই জায়গায় রেখে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়গুলোর রাজস্বের জন্য আন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দেশীয় শিক্ষার্থীদের গড় টিউশন ফি ছিল ৭ হাজার ৯৩৮ ডলার। একই সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ছিল গড়ে ৪০ হাজার ৫২৫ ডলার।
ফেডারেল সরকার গত জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অনুমতি কমানোর ঘোষণা দেয়। নি¤œমানের প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে উচ্চ টিউশন ফি থেকে বাড়তি সুবিধা ঘরে তুলতে না পারে সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে সে সময় জানান অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন মানহীন শিক্ষা দিতে না পারে সেটাও এর উদ্দেশ্য।