-1.7 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫

আগরতলায় হামলা

আগরতলায় হামলা
আগরতলায় হামলা

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ওপর ভারতীয়দের ন্যক্কারজনক হামলায় আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটা মোটেও কাম্য ছিল না। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছেড়া বা পুড়ানো, একেবারে কমিশনের ভেতরে ঢুকে কুটনৈতিকদের ওপর বর্বরোচিত হামলা ও সহিংসতা দুই দেশের মাঝে চরম শত্রুতার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্য মন্ত্রী মততা আগুনে ঘি ঢেলেছেন। তিনি মিস্টার মোদিকে রিকুয়েস্ট করেছেন যে, জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হোক। এই যে ভারতীদের আন্দোলন বা মূখ্য মন্ত্রীর বেফাঁস মন্তব্য এসবের মূলে রয়েছে বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের এক কাল্পনিক চিত্র। সেই সূত্র ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হিন্দু-মসলিম দাঙ্গা বাঁধিয়ে একটা অস্থিরতা সৃষ্টির বৃথা প্রয়াস চলছে।

- Advertisement -

দেখুন, ইদানিং অনেকেই বলতেছেন আমরা কী এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম? কেউ নিজের ঘরে আগুন দিয়ে, আগুন আগুন বলে চিৎকার করলে সে আগুন কখনোই থামবে না।

আমি কয়েকটা বিষয় লক্ষ্য করেছি যে, বাংলাদেশের জনগণ খুবই ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। যেটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

জুলাই আন্দোলন যখন শুরু হলো ছাত্র-জনতা কোথাও কোনো হাইকমিশন ঘেরাও বা এ ধরণের কিছুই করেন নি।

আবার এই যে আলিফকে মা*রা হলো, তার প্রেক্ষিতে পাল্টা কোনো অঘটন ঘটতে দেখা যায় নি।

এই যে মুন্নি সাহাকে একদল মানুষ ঘেরাও করলেন সেখানেও কিন্তু  অপ্রিতিকর কিছু ঘটতে পারত কিন্তু  ঘটে নি। মানুষ কঠিন ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন।

এই যে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভারতীয়রা পতাকায় আগুন দিল, ভাঙল এতকিছুর পরেও তার বদলা নিতে কিন্তু  জনগণ বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনটা ভেঙে দিয়ে আসেন নি।

প্রতিবাদ হয়েছে, হচ্ছে, সেটা হোক। যে যেমনভাবে হোক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবেন তবে অবশ্যই সেটা ভেঙেচুরে নয়।

বাংলাদেশের জনগণকে আরো ধৈর্য ধরতে হবে। তবে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখতে হবে ঠান্ডা মাথায়।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

 

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles