
ফ্রান্সে ১০ বছর ধরে স্ত্রীকে অচেতন করে অর্ধশত পুরুষ দিয়ে ধর্ষণের সেই ঘটনায় স্বামী ডমিনিক পেলিকোতকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে কারাদণ্ড হয়েছে ধর্ষণকারী সেই ৫০ জনেরও। খবর রয়টার্সের।
ডমিনিক পেলিকোত ছিলেন ভুক্তভোগী জিজেল পেলিকোতের স্বামী। স্ত্রীকে মাদকদ্রব্য খাওয়ানো এবং অন্যদের দিয়ে ধর্ষণ করানোর জঘন্য অপরাধে আদালত বৃহস্পতিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অভিযুক্ত বাকি ৫০ পুরুষকেও তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
এদের মধ্যে কেউ তরুণ, কেউ বৃদ্ধ, কেউ স্থূল, কেউ পাতলা, কেউ কৃষ্ণাঙ্গ বা কেউ শ্বেতাঙ্গ। তাদের পেশাও বিভিন্ন রকম। কেম ফায়ার সার্ভিসকর্মী, গাড়িচালক, সেনা, নিরাপত্তারক্ষী; এমনকি একজন সাংবাদিক ও একজন ডিজেও রয়েছেন।
তাদের বেশিরভাগই আসেন জিজেল এর গ্রাম মাজানের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যকার ছোট শহর ও গ্রাম থেকে। ডমিনিক পেলিকোত নিজে আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ স্বীকার করেন এবং আদালতকে বলেন, তার সঙ্গে অভিযুক্ত ৫০ জনও দোষী।
ফ্রান্সের অবসরপ্রাপ্ত ৭২ বছর বয়সী ডমিনিক পেলিকোতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি প্রথমে তার স্ত্রী জিজেল পেলিকোতকে মাদকের নেশায় অচেতন করতেন, এরপর অন্য পুরুষ দিয়ে তাকে ধর্ষণ করাতেন। ধর্ষণ করানোর জন্য অনলাইনে লোক খুঁজতেন ডমিনিক।
১০ বছর ধরে ৯২ বার এভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন স্ত্রী জিজেল। ৭২ জন পুরুষ তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেই ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর অ্যাভিগনোনে গত সেপ্টেম্বর থেকে ডমিনিকের বিচার চলছিল।