
আইসিইউর সেবা নিলে খরচ দ্রুত বেড়ে যায় বলে জানান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. ডোনাল্ড রিডেমিয়ের। তিনি বলেন, আইসিইউতে ভর্তি কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে একটি বৈশিষ্ট হলো তাদেরকে দীর্ঘ সময় সেখানে থাকতে হয়। তারা যদি সুস্থ্য হন তাহলে সেজন্য অনেক বেশি সময় নিয়ে থাকেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো এক মাস পর্যন্ত ভেন্টিলেটরে থাকতে অস্বাভাবিক কিছু নয়। সাইকোথেরাপিস্ট, রেসপিরেটরি থেরাপিস্টের মতো একাধিক বিশেষজ্ঞ তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
এদিকে, কানাডায় যেসব কোভিড রোগীর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়েছে তাদের চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে গড়ে ৫০ হাজার ডলারের বেশি। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় ব্যয় যেখানে ৮ হাজার ৪০০ ডলার। কানাডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ইনফরমেশনের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানিয়েছে দ্য কানাডিয়ান প্রেস ।
সংস্থাটির উপাত্ত বলছে, আইসিইউর বাইরে থাকা কোভিড রোগীদের পেছনে ব্যয় হয়েছে গড়ে ২৩ হাজার ডলারের বেশি। এ ব্যয় ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগীর ব্যয়ের চারগুন বেশি।
সংস্থাটির স্বাস্থ্য ব্যয় ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অন্তবর্তী পরিচালক অ্যান চ্যাপম্যান বলেন, এটা কেবল গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক মূল্য। চিকিৎসকের ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
প্রতিবেদনটি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে তারা বলেছে, কোভিড-১৯ রোগীকে হাসপাতালে রাখতে হয় ১৫ দিন। সাধারণ নিউমোনিয়ার রোগীকে হাসপাতালে রাখতে হয় যেখানে এর অর্ধেক সময় এবং চিকিৎসায় খরচ পড়ে ৮ হাজার ডলারের মতো। তবে কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে যারা গুরুতর অসুস্থ্য হন তাদেরকে আইসিইউতে নিতে হয়। আইসিইউতে ভর্তি প্রতি পাঁচজন কোভিড রোগীর মধ্যে মারা যান একজন।
সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, কুইবেক বাদে কোভিড-১৯ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি বাবদ ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত কানাডার খরচ হয়েছে ১০০ কোটি ডলার। তবে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত খরচ হয়েছে তিনগুন।
চ্যাপম্যান বলেন, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চতুর্থ ঢেউয়ে খরচের হিসাব ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হবে। আইসিইউতে ভর্তি রোগীরা গড়ে ২১ দিন হাসপাতালে অবস্থান করেছেন।