13.9 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১৯, ২০২৫

এবার কোন দায়িত্ব সামলাবেন ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা

এবার কোন দায়িত্ব সামলাবেন ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা - the Bengali Times
ইভাঙ্কা

ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন, তখন তার বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবার ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন ইভাঙ্কা হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে কাজ করেছেন।

রাজনীতির পাশাপাশি ট্রাম্পের ব্যবসাতেও সময় দিয়েছেন ইভাঙ্কা। কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইভাঙ্কা ওয়াশিংটন ছেড়ে যান, বাবার চাকরিও ছেড়ে দেন। ২৩ বছর বয়স থেকে ওয়াশিংটনে থাকার পর এবার তিনি প্রথমবারের মতো শহরটি ছেড়েছেন। এবং জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর রাজনীতিতে ফিরছেন না।

- Advertisement -

২০২২ সালে ট্রাম্প তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন তখনও সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে ইভাঙ্কা বলেছিলেন, আমি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছি না।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ট্রাম্পের বিজয়ের পরও ইভাঙ্কা নিজের অবস্থানে অটল রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র। ওই সূত্রগুলো বলেছে, ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি শহরে একান্ত ব্যক্তিগত জীবন কাটাতে চাইছেন। চার বছর ধরে তারা সেখানে বসবাস করছেন।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তার গ্রহণ করা কিছু সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে না পারায় ইভাঙ্কা সব সময় নানা ধরনের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। তখন তিনি নিউইয়র্কে নিজেদের উদার মতাদর্শে বিশ্বাসী বন্ধুমহলে কিছুটা অপাঙ্‌ক্তেয় হয়ে পড়েছিলেন। নৈতিকতাবিষয়ক প্রশ্নের মুখে তাকে নিজের নামে দাঁড় করানো মোটামুটিভাবে সফল একটি কাপড়ের ব্র্যান্ড বন্ধ করতে হয়েছিল।

গত জুলাই মাসে ‘দ্য লেক্স ফ্রিডম্যান পডকাস্ট’-এ দীর্ঘ তিন ঘণ্টা কথা বলেছেন ইভাঙ্কা। এতে তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতি বেশ অন্ধকার একটি জগৎ। সেখানে অনেক অন্ধকার ও বিপুল নেতিবাচক বিষয় আছে। মানুষ হিসেবে আমার কাছে যা কিছু ভালো মনে হয়, সেটার সঙ্গে এটা আসলেই মেলে না।’

নিজের ওয়াশিংটনের জীবনের দিকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্পের বড় মেয়ে বলেন, ‘আপনি জানেন, এটা (রাজনীতি) আসলেই একটি দুরূহ কাজ। তাই এতে অংশ না নেওয়াটা আমার পরিবার ও আমার জন্য ভালো মনে হচ্ছে।’

তবে ইভাঙ্কা সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র বলেছে, তিনি এখনো তার বাবার সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ। তিনি তার সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেন। আরও কয়েকটি সূত্র সিএনএনকে বলেছে, দৃশ্যপটের বাইরে থেকে তিনি তাঁকে নানা বিষয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে উপদেশ দেওয়া অব্যাহত রাখবেন। সূত্রগুলো বলছে, ট্রাম্পের এবারের মেয়াদে বাবার প্রতি ইভাঙ্কার উপদেশ অনেকটা রাডারের নিচে থাকার মতো বিষয় হবে।

ইভাঙ্কার চিন্তার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র বলেছে, এবার যদি তিনি তার বাবার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রভাব বিস্তার করতে চান, ‘তা কখনো জনসমক্ষে আসবে না’। অর্থাৎ আড়ালেই কাজ করবেন ইভাঙ্কা।

জামাতা কুশনারও এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক কাজে তিনি বাইরে থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার কাজ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, কুশনারের সঙ্গে অঞ্চলটির নেতাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে অঞ্চলটির সঙ্গে তার নিজেরও বড় ধরনের আর্থিক স্বার্থ জড়িত।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles