
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন এক দেশ চাই। যে দেশে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। দুর্নীতি টেন্ডারবাজি থাকবে না। এই সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ প্রত্যেককে সম্মান করবে। যে দেশে আমার মায়েরা ইজ্জতের সাথে নিরাপত্তার সাথে কর্মক্ষেত্রে কাজ করবে। আমরা জোর করে নারীকে বোরকা পরাবো না। এ সমাজে অনেক অমুসলিমও আছে। মুসলমানদের মধ্যে যারা পর্দা করবে না তাদেরকে আমরা বুঝাবো।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরের মিঠাপুকুর কলেজ মাঠে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী দেশের মালিক বনে গিয়েছিলো। আর দেশের মানুষকে অর্থাৎ আমাদের সবাইকে ভাড়াটিয়া মনে করেছিলো, যার কারণে হেফাজতে ইসলামের ওপর নারকীয় হত্যাকাণ্ড ও ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যার পর জামায়াতের ওপর হাত দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সহ্য করতে পারে না বলেই আয়নাঘর বানিয়ে গুম-খুন শুরু করেছিল। তারা কোনো মানুষকে সম্মান দিতে শেখেনি। খালেদা জিয়ার মতো একজন প্রবীণ মানুষকেও তারা জেলে রেখেছিলো। শহীদ আবু সাঈদকে গুলি করা হয়েছে। তার প্রত্যেক ফোটা রক্ত কথা বলছে। তখন যুবকেরা রাস্তায় নেমেছে বলেছে বুকের ভিতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর। তার পথ ধরে রাস্তায় নেমেছিল লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী। ১০ মাসের শিশু নিয়ে মাও এসেছিল রাস্তায়।
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগ ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছে। বিচারের আসনে বসে তারা রাজনীতি চর্চা করেছে। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সাঈদী সাহেবকে উদ্দেশ্য করেও এই কালা মানিক হুংকার দিয়েছিলো। শেষমেষ নিজে ভারত পালাতে গিয়ে ধরা পড়লেন। আমাদের কোন দিদি বাড়ি নাই, মামা বাড়ি নাই। পালানোর প্রয়োজন নাই।’