
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পালিয়ে গিয়েও ভালো নেই। নিজের দলের নেতাকর্মীরাই খোঁজছেন তাকে। তারা দলের করুন পরিণতির জন্য দায়ী করছেন ওবায়দুল কাদেরকে। শেখ হাসিনা পতনের আগে তার খামখেয়ালি পূর্ণ মন্তব্যগুলো আজ কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করছেন নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জ্বিন নাকি আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ তা নিয়ে চলছে গবেষণা। গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর তার দলের সকল পরিচিত মুখের সন্ধান মিললেও সন্ধান মেলেনি ওবায়দুল কাদেরের।
দীর্ঘ ১৭ বছরে এক একটা শব্দ বোমা মেরে বিরোধীদের কাটা গায়ে নুনের ছিটা দিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। যাদের প্রতি সাধারণ জনগণের সবচেয়ে বেশি খুব ছিল তাদের মধ্যে ওবায়দুল কাদেরের নামে সবার উপরে। একবার এই চাঁদ কপালের দেখা পেলে তার যে কি পরিণতি করবে জনগন তা হয়তো কেউ জানেনা। হয়তো এমনটা টের পেয়েছিলেন যার জন্য আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। তিনি মারা গিয়েছিলেন কয়েবার গুজবও ছড়িয়ে ছিল।
ট্রাইবুনাল বলছে, গত তিন মাস তিনি বাংলাদেশে ছিলেন এবং তাকে পালিয়ে যেতে কারা সাহায্য করেছে তার উত্তর চেয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস কোথায় ছিলেন তা আমাদের জানা ছিল না। যদি আমরা জানতাম তাহলে তাকে অবশ্যই আটক করতাম।
জানা যায়,ওবায়দুল কাদের দিল্লিতে না গিয়ে কলকাতায় থাকছেন। ভারতে কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ওবায়দুল কাদেরের সন্ধান করছেন। তারা অভিযোগ করছেন ওবায়দুল কাদের সরকার পতনের জন্য দায়ী। যদি কাদেরের সাথে সাক্ষাৎ হয় তাহলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে।ক্ষমতায় থাকাকালীন যে নেতাকর্মীদের ক্ষমতার ইশারায় ঘুরিয়েছেন তারা এখন তাকে ঘুরাতে হন্য হয়ে খুজঁছেন।