
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা আলম মিতু বলেছেন, ডাক্তারদের জীবনের প্রথম ৬৫ বছর কষ্ট, এরপর কেবল টাকা আর টাকা। একথাটি আমাদের প্রায়ই শুনতে হয়। আমরা যে স্ট্রাগল করে আসছি, এটা সাধারন মানুষ জানে না। যা জানা উচিত।
তিনি বলেন, বাবা-মা যখন তাদের সন্তানদের ডাক্তারি পড়ায়। তখন কিন্তু তারা সিনিয়র কোন ডাক্তারকে দেখে অনুপ্রাণীত হয় এবং মনে করেন যে তাদের সন্তান ঐ সিনিয়র ডাক্তারের মতো হবে। আসলে ঐ সিনিয়র ডাক্তারের মতো হতে গেলে কত স্ট্রাগল করতে হয়। যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মিতু বলেন, ডাক্তারি পড়তে গিয়ে প্রথমত আমাদের এমবিবিএস পাশ করতে হয়ে। আবার পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতে হয়। যেখানে চান্স পেতে মিনিমাম ৩-৪ বছর সময় লেগে যায়। তারপর ৫-৬ বছর একটা লম্বা সময় স্ট্রাগল করতে হয়। আর পাশ করার সাথে সাথেই তো আর তাকে কেউ চেনে না। একট জায়গায় বসতে হয়। তার পর একটা অবস্থান তৈরি হয়।
তিনি আরোও বলেন, অনেক যুদ্ধ পার করার পর একটা অবস্থানে গিয়ে দাঁড়ানো সম্ভব হয়। বিদেশে কিন্তু সম্মানের সাথে যথাযত ভাতা দেওয়া হয়। যাতে করে তাদের পড়াশোনাটা হয়। সেই ব্যবস্থা সরকারেই করে থাকে। আজ এই যুদ্ধের মধ্যে জনগণ যেন বুঝতে পারে এবং সরকারও যেন আমাদের পাশে থাকে সেই প্রত্যাশা করি।