
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কারাবন্দী বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইফুল ইসলামের এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জামিন আবেদনের ওপর আধা ঘণ্টা ধরে শুনানি হয়েছে। আদালত দুই পক্ষেরই যুক্তিতর্ক শুনেছেন। পরে বিচারক জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
শুনানিতে চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল। পৌনে ১২টার দিকে আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে এই আইনজীবী নেতা বলেন, আদালতকে আমরা সাবমিশন দিয়েছি। সবকিছু শোনার পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। আমরা এখন উচ্চ আদালতে যাব।
এর আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে আইনজীবীরা চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রবেশ করেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) এএএম হুমায়ুন কবির জানান, চিন্ময়ের জামিন শুনানি ঘিরে আদালত ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। আছে সাদা পোশাকের পুলিশও।
গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময়ের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। ওই মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে কারাগারে আছেন চিন্ময়।