
বিয়ের আয়োজন চলছিল। হঠাৎ বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে যান কনে। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও আর ফেরেননি তিনি। সঙ্গে নিয়ে যান নগদ টাকা এবং সোনার গয়না। বিয়ের মণ্ডপেই সর্বস্ব হারিয়ে বসেন বর। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের সিতাপুরের।
জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা কমলেশ কুমার আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি আবার বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেন। ঘটককে টাকা দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা পাকা করেন। এজন্য খরচ হয় ৩০ হাজার রুপি। একপর্যায়ে গ্রামের শিবমন্দিরে বিয়ের আয়োজন করেন কমলেশ।
নির্ধারিত দিনে মায়ের সঙ্গে বিয়ে করতে আসেন কনে। কমলেশ জানিয়েছেন, বিয়ের যাবতীয় খরচ তিনিই বহন করছিলেন। কনেকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন সোনার গয়না, পোশাক এবং বিয়ের শাড়ি। বিয়ে শুরুও হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে কনে জানান, তিনি বাথরুমে যেতে চান। অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি ফেরেননি। সন্দেহ হয় কমলেশের। একটু পর দেখতে পান কনের সঙ্গে তার মাও উধাও!
প্রতারণার শিকার কমলেশ বলেন, প্রথম স্ত্রীকে হারানোর পর নতুন করে সংসার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে উল্টো সর্বস্ব হারিয়ে ফেললেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। এসপি জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।