
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবেলায় আবারও ভ্যাকসিন মজুদ শুরু করতে যাচ্ছে ধনী দেশগুলো। বৃহস্পতিবার এমন সতর্কবার্তা দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ধনী দেশগুলোর এমন প্রবণতার ফলে গ্যাভি এবং কোভ্যাক্স পরিচালিত টিকা বণ্টন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম। তিনি জানান, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগের একবছর পরও বিপদে রয়েছে বিশ্ব। নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্টের সামনে অসহায় মানবজাতি। তবুও দরিদ্র এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে পৌঁছানো যাচ্ছে না পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন। মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ সেসব দেশে নিশ্চিত করতে পেরেছেন টিকা। অন্যদিকে, ধনী এবং উন্নত দেশগুলো এগিয়ে গেছে বুস্টার ডোজে। এমনকি ওমিক্রন প্রতিরোধেও তারা তৃতীয় ডোজ নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, ওমিক্রনের সাম্প্রতিক বিস্তার আমাদের বিপজ্জনক অবস্থাটি আরও স্পষ্ট করেছে। ভ্যাকসিন করোনার নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্টকে ঠেকাতে অনেকাংশে সক্ষম। বিশ্বের ৪০ ভাগ মানুষের দুই ডোজ টিকা নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এই হার ৩ শতাংশ। তাদের সহায়তার বদলে ওমিক্রন আতঙ্কে ধনী দেশগুলো ভ্যাকসিন মজুদ করছে।