পাকিস্তানি এক ছাত্র জায়েন হক এর বিরুদ্ধে ডিপোর্টেশন বা বহিষ্কারাদেশ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে । ইমিগ্রেশন মন্ত্রী যদি শেষ মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করে তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। আদালতে যাবতীয় আপিল নিষ্পত্তি শেষে তার বহিষ্কারাদেশ এখনো বহাল আছে। তার বিরুদ্ধে ভ্যানকুভারে ক্লাইমেট একটিভিস্টদের সাথে বারবার রাস্তা অবরোধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলির মতে, সেইসব অবরোধের কারণে নাগরিকদের জীবন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেউ ফ্লাইট মিস করেছে , কেউবা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেনি বা অনেকেই সঠিক সময়ে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারেনি।
কানাডায় যারা স্টাডি পারমিট নিয়ে আসতে চান, তাদের জন্য এটি একটি শিক্ষনীয় মামলা হয়ে থাকবে।
হক ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাসের ছাত্র ছিলেন। স্টাডি পারমিটের অন্যতম শর্ত, সময়সূচী অনুযায়ী কোর্স শেষ করা কিন্তু হকের ক্ষেত্রে সেটা হয় নাই। বিদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডায় ঢোকার অনুমতির অন্যতম শর্ত যথাসময়ে পড়াশোনা শেষ করে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। আদালত এর পর্যবেক্ষণ, হক যাবতীয় শর্ত ভঙ্গ করেছেন।
গত বছরের এপ্রিলে হকের বিরুদ্ধে একবার বহিষ্কারাদেশ জারি হয়েছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে সরকারের ইমিগ্রেশন মন্ত্রী হস্তক্ষেপ করায় হক সে যাত্রায় বেঁচে যান। ইন-অ্যাডমিসিবল বা প্রবেশ অযোগ্য কারো ক্ষেত্রে সর্বশেষ উপায় হিসাবে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট পারমিট এর আবেদন করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থেকে যাওয়া যায়। হক ও তাই করেছিলেন। হকের ভাষ্যমতে, সেই পারমিট নবায়নের ও আবেদন তিনি পরবর্তীতে করে রাখেন কিন্তু সরকারের ইমিগ্রেশন বিভাগ বা আইআরসিসি বলেছে, তার টেম্পোরারি পারমিট নবায়নের কোন আবেদন তাদের কাছে নেই। তাই তারা এবছর আবার রিমুভাল অর্ডার পুনরুজ্জীবিত করে। বহিষ্কারাদেশ অনুযায়ী আজকেই হক এর পাকিস্তান ফেরত যাওয়ার কথা।
এর মধ্যে হক কানাডিয়ান এক নাগরিককে বিয়ে করে স্পাউজাল স্পনসরসিপেরও আবেদন করে রাখেন কিন্তু আইনি জটিলতায় সে আবেদন ও এখনো পর্যন্ত আলোর মুখ দেখে নাই ।
মোদ্দা কথা, টেম্পোরারি রেসিডেন্ট বা অস্থায়ী অভিবাসী হিসেবে যারা কানাডায় আসবেন, বেড়ানোর জন্য, পড়াশোনার জন্য বা কাজের জন্য, তাদের এখানে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হওয়ার সুযোগ নাই। পৃথিবীর কোন দেশে সেটি আছে বলে মনে হয় না। তাই সাধু সাবধান।
টরন্টো, কানাডা