![স্বামীর কিডনি বিক্রির টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে লাপাত্তা স্বামীর কিডনি বিক্রির টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে লাপাত্তা](https://www.thebengalitimes.com/wp-content/uploads/2025/02/KIDNY.webp)
সংসারের অনটন সামলাতে কিডনি বিক্রি করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এক যুবক। তবে ওই যুবকের সেই টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী! এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। এ ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ভবিষ্যতে মেয়ের বিয়ের জন্য স্বর্ণালঙ্কার প্রয়োজন। এই কথা বারবার বলে স্বামীকে ৭ লাখ টাকায় একটি কিডনি বিক্রিতে বাধ্য করেন স্ত্রী। কিডনি বিক্রির ৫ লাখ ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে এবং প্রায় দুই লাখ তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে আসে। সুযোগ বুঝে কিডনি বিক্রির নগদ টাকা এবং কেনা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে লাপাত্তা হয়ে যান ৩৩ বছরের ওই নারী।
জানা গেছে, স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর স্বামী থানায় ডায়েরি করেন। তারপর স্ত্রীকে খুঁজে পেতে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেন। এক্ষেত্রে মামলাকারীর স্ত্রীকে খুঁজে এনে আদালতে হাজির করানোর কথা। যদিও হেবিয়াস কর্পাস মামলায় পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারীদের কাছে ওই মহিলা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন।
পুলিশের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে ওই নারী প্রেমিকের সঙ্গে বাস করছেন। কেউ তাকে জোর করে কিছু করায়নি। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৭ জানুয়ারি হেবিয়াস কর্পাস মামলাটি খারিজ করে দেয়।
আদালতের বক্তব্য, যেহেতু নারীর সন্ধান পাওয়া গেছে এবং তিনি স্বেচ্ছায় স্বামীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে মুচলেকা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আর হেবিয়াস কর্পাসের আবেদন কার্যকর হবে না। এদিকে এরপর নিজের কিডনি বিক্রির টাকা স্ত্রীর কাছ থেকে আদায় করতে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আইনজীবীদের দাবি, স্বামীকে প্রথমে ভুল বুঝিয়ে তার কিডনি বিক্রিতে একরকম বাধ্যই করেন তার স্ত্রী।