মানহানির অভিযোগে করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। এ মামলার শুনানির ১৬ মিনিট তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় হাজিরা দিতে আদালতে আসেন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি।
পরে আদালতের ভেতরে থাকা বেঞ্চে বসে তিনি ফোন ব্যবহার ও গল্প করে সময় কাটান। একপর্যায়ে বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ আদালতের এজলাসে ওঠেন। এক মিনিট পর প্রথমেই তাপসীর মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তখন তাপসী বেঞ্চ থেকে উঠে কাঠগড়ার সামনে এসে দাঁড়ান।
শুনানির ১৬ মিনিট তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে বিচারক ১১টা ৪০ মিনিটে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তখন তিনি মাথা নিচু করে আদালত থেকে বের হন।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহীদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড এবং পর্যালোচনা শেষে ২৮ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। ওই দিন তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ শ টাকা মুচলেকায় তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মামলাটি বদলি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর আসামি ঊর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকারপ্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লেখেন।
যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধানসম্মতভাবে গঠিত একটি সরকারপ্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। পরে ৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।