দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন হতেই পারে। কখনো ভুল বোঝাবুঝি, কখনো সময়ের অভাব আবার কখনো দায়িত্ববোধের ঘাটতি সম্পর্কে ফাটল ধরায়। তবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একপক্ষের প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়, উভয় অংশীদারের সমান অংশগ্রহণ জরুরি।
সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া, বিশ্বস্ততা, আন্তরিকতা ও পারস্পরিক দায়িত্ববোধও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নারীদের কিছু বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত, যাতে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা জরুরি। স্বামীর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া, তার চাহিদা বোঝার চেষ্টা করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এতে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া আরও দৃঢ় হয়।
খোলামেলা যোগাযোগ রাখা
প্রতিদিনের কাজের চাপে সম্পর্ক যেন ফিকে না হয়ে যায়, সেজন্য স্বামীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা জরুরি। দিনশেষে একে অপরের সাথে সময় কাটানো, মনের কথা ভাগ করে নেওয়া দাম্পত্য সম্পর্ককে মজবুত করে।
স্বামীর প্রশংসা করা
পুরুষেরা সাধারণত প্রশংসা পেতে ভালোবাসে। স্বামীর কাজের প্রশংসা করলে সে আরও বেশি উৎসাহিত হয় এবং সম্পর্কের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়ে। ছোট ছোট অর্জন বা পরিশ্রমের জন্য তাকে সাধুবাদ জানানো সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখে।
দায়িত্ব ভাগাভাগি করা
শুধুমাত্র স্ত্রীকে সংসারের সব কাজের দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। স্বামীকেও বিভিন্ন কাজে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এতে সংসারের প্রতি দুজনেরই সমান দায়িত্ববোধ তৈরি হয় এবং সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় থাকে।
বিশ্বস্ত ও সৎ থাকা
বিশ্বাসের ভিত্তিতেই একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাই স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকা, কোনো কিছু লুকিয়ে না রাখা এবং সম্পর্কের স্বচ্ছতা বজায় রাখা আবশ্যক। এতে সম্পর্কে সন্দেহের জায়গা কম থাকে এবং টানাপোড়েনের সম্ভাবনা কমে।
স্বামীর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা
স্বামী শুধু স্ত্রীকে নিয়েই জীবন কাটান না, তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবও তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই তাদের প্রতি সদয় থাকা, শ্রদ্ধা দেখানো ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখা দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর করে তোলে।
যৌন অন্তরঙ্গতা বজায় রাখা
শুধু মানসিক নয়, শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও দাম্পত্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা, তাকে অনুভব করানো যে তিনি বিশেষ, এসব বিষয় সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়।
অভিযোগের পরিমাণ কমিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা
অনেক সময় স্বামীদের প্রতি অতিরিক্ত অভিযোগ করা বা সবসময় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা সম্পর্কে দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। তাই ছোটখাটো ভুলত্রুটির চেয়ে তার ভালো দিকগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।