
‘মুখ খুললেই বুলডোজার’এই হুংকারে বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে সমন্বয়ক নুসরাত তাবাস্সুম লেখেন, “৩২ এর সাথে সাথে সমাধিসৌধটাও হিসাবে রাইখেন আর কি মাথায়! ৬ মাসে একটা, এক বছরে আরেকটা। মুখ খুললেই বুলডোজার।”
এদিকে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থেকে ছাত্র-জনতার জমায়েত ধানমন্ডি ৩২-এর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। এর আগে থেকেই ঘোষিত ‘বুলডোজার মিছিল’ ও ‘মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচি উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয় এবং পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২-এর মূল ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, মুর্যাল, দরজা-জানালাসহ অনেক কিছুই ভাঙচুর করা হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার শুধু ভাঙচুরই নয়, অগ্নিসংযোগও করা হয় ঐতিহাসিক এই বাড়িটিতে।
রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে বিক্ষোভকারীরা বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ভবনকে গ্রাস করতে শুরু করে।