
এক সময় খুব শুনতাম জিনজিরা মেইড। আমাদের দেশের জিনজিরা মেইড জিনিস খুব বিখ্যাত। এমন কিছু নাই, যার ডুপ্লিকেট তারা করতে পারেনা। জিনজিরা মেইড শুধু জিনজিরাতে সীমাবদ্ধ নাই এখন। সারা বাংলাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে।
অনেক কিছু তৈরি হয় বাংলাদেশে এখন কিন্তু সবকিছুরই ডুপ্লিকেট ও আছে। চিনতে না পারলে ভুলভাল ব্যবহারে জীবন শেষ। কার জীবন শেষ হলো কার কতটা ক্ষতি হলো এ নিয়ে কোন চিন্তা নেই। যারা আসল জিনিস কে নকল করে জনগণের মাঝে বিতরণ করে। সব জিনিসের মাঝেই নকলে সয়লাভ। মানুষ শুধু চায় নিজের উন্নতি করতে বেশি লাভ করতে, তাতে অন্য কার কি ক্ষতি হলো তাদের দেখার বিষয় না।
বর্তমানে বাংলাদেশে একটা সরকার আছে তারাও নকলের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে কোটা আন্দোলনের ভিতরে ঢুকে সরকার উৎখাতে নেমেছিল।
সরকার উৎখাতের সঠিক গণতান্ত্রিক পথ অবলম্বন না করে।
নিজেদের সঠিক পরিচয় না দিয়ে ছাত্রদের ভিতরে ঢুকে তারা নিজেদের কার্য, অভিসন্ধি, বাস্তবায়ন করেছে,বিখ্যাত মেটিকুলাস পরিকল্পনার মাধ্যমে।
জিনজিরা মেইড এই সরকার দেশের কি কি উন্নতি করল, এখন পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি না কিছু। কেবল আগের রাজনৈতিক দলের মানুষদের যত রকম ভাবে নির্যাতন করা যায়, তাদের রাজনীতি বন্ধ করা যায় এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস মুছে দেওয়া যায় এসবের জন্য যা কিছু করার তা করছে।
দেশের জন্য নিরপেক্ষ ঐতিহ্যবাহী, দেশের স্বার্থের কোন কাজ এখন পর্যন্ত চোখে পড়লো না বরঞ্চ শোনা যাচ্ছে তারাও ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছে ফ্যাসিস্ট সরাতে এসে। নিরপেক্ষভাবে সর্বদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়ার সুযোগ দ্রুত না দিয়ে, নিজেদের একটি দল গঠনের চেষ্টা করছে। যাতে নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যেমন বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে জিয়া, এরশাদ এভাবেই নিজেদের দল গঠন করে ছিল।
জিনজিরা মেইড নকল ভাবনা দিয়ে আসল কিছু তৈরি করা যায় না।
বাংলাদেশ আমার, বড়ই দুর্ভাগা।
টরন্টো, কানাডা