
ছাত্রজনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে পালিয়ে ভারত গিয়ে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার জন্য বাংলাদেশ ভারতে নথিপত্র পাঠিয়েছে। দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এ বিষয়ে ভারতকে স্মারকপত্র দেবে।
এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি মিত্রদের সম্পৃক্ত করবে কিনা, জানতে চাইলে রফিকুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়াদিল্লিতে অবস্থিত তার মিশনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে বিচারিক কার্যক্রমে হাজির করতে প্রত্যর্পণের জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করে একটি ভারবাল নোট পাঠিয়েছিল।
রফিকুল আলম বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। আমরা ভারতের কাছ থেকে সাড়া পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।’
হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার জন্য বাংলাদেশ ভারতে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম নিশ্চিত করেন, ঢাকা থেকে ভারতে পাঠানোর একটি ভারবাল নোটের (কূটনৈতিক চিঠি) সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ভারতকে সম্ভাব্য স্মারকপত্র দেওয়ার সময় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘এটি একটি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
জাতিসংঘের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিল্লির ওপর হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করবে কিনা, এমন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র উল্লেখ করেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিবেদনের ফলাফল যে কারও মনকে নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।’
রফিকুল আলম বলেন, তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে জাতিসংঘের তথ্য-অনুসন্ধানকারী দল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, রোম সংবিধির ৭ অনুচ্ছেদের অধীনে সংশ্লিষ্ট সময়ের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন মানবতাবিরোধী অপরাধ।