
দেশ থেকে ফেরার পথে একদিন এক রাত দুবাইতে কাটাচ্ছি। আজকে অনেক ভোরে ঢাকা থেকে দুবাই এসেছি। সকালে গোসুল সেরে নাস্তা করে একটু ঘুমিয়ে নিয়ে Early লাঞ্চ সেরে বের হয়েছিলাম নতুন দুবাইয়ের কিছু জায়গায়।
দুবাইতে আমার প্রহম আসা প্রায় ২৪ বছরে আগে আমার Cousin হাফিজ ভাইয়ের বাসায়, তখন উনি দুবাইয়ের নতুন পুরাতন এবং আবুধাবির অনেক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
তারপর আরো বেশ কয়েকবার আশা হয়েছে। সেই সময়ের তুলনায় অনেক অনেক পরিবর্তন এছেছে। সব থেকে লেটেস্ট এসেছিলাম কভিডের আগে ২০২০ সালের প্রথম দিকে। এই ৫ বছরেও অনেক পরিবর্তন। অনেক অনেক হাই-রাইস বিলিডংসহ অনেক কিছু হয়েছে।
তবে ঘুরতে আসতে বললে আমি ওকে, কিন্তু স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আমার পছন্দের পৃথিবীর ২/৪টি যে জায়গা আছে তার মধ্যে দুবাই পড়বে না।
এখানে যদিও এদের হিসাব অনুযায়ী এখন শীতকাল, আমার কাছে পুরা আমাদের কানাডিয়ান জুলাইয়ের গরমের মতো। তবে বিকালের দিকে সমুদ্রের পাড়ে বেশ সুন্দর বাতাস ছিল।
গরম এবং ঘুম লাগার কারণে খুব বেশি কোথাও যায়নি।
উল্লেখ্য, এখানে বিরতি, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া এবং এয়ারপোর্ট সাটল সবই এয়ারলাইন কতৃপক্ষ করেছে, আমার নিজের কিছুই খরচ করতে হয়নি। নিজের করতে হলে হয়তো এখানে থামতাম না, কারণ আমি বরাবরই সস্তা ট্রাভেলার।
যাহোক, আগামী কাল এই রৌদ্রোজ্জ্বল গরম থেকে চলে যাবো টরোন্টোর সাদা বরফে ঢাকা শহরে, শুরু হবে রেগুলার জীবন।
এবারে বাংলাদেশের ট্রিপটি ছিল বলতে গেলে Unplanned বা হটাৎ করে প্ল্যান করা খুব শর্ট, কোনো এক বিশেষ কারণে তাই সব কিছু তাড়াহুড়ার মধ্যে কেটেছে। তারপরেও অল্প কিছু প্রিয়জনদের সাথে দেখা হওয়াতে অনেক ভালো লেগেছে।
বাংলাদেশের ধীরগতির যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আমার মনে হয় কখনই আমি আমার সব প্রিয়জনদের সাথে দেখা করতে পারবো না, তাই ভেবেছি এবার থেকে এক একবার ট্রিপে এক এক জনের সাথে দেখা করবো তা না হলে হয়তো কিছু মানুষের সাথে ইহো কালেও আর দেখা হবে না।
পরম করুনাময় আল্লাহতালা সবাইকে ভালো এবং সুস্থ রাখুন এই কামনায় শেষ করছি।
স্করবোরো, কানাডা