
ফ্লাইট বাতিলের কবলে পড়া টেইলর সুইফট ভক্তকে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ওয়েস্টজেট কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইট বাতিলের ফলে ওই সুইফট ভক্তকে গত মাসে ভ্যানকুভারে এই গায়িকার শোতে পৌঁছানোর জন্য রাতে ১০ ঘণ্টা গাড়ি চালাতে হয়।
ক্যারল হ্যানসন বলেন, বিসি প্লেসের প্রথম তিনটি কনসার্টে টেইলর সুইফট মঞ্চে ওঠার ২৪ ঘণ্টারও কম সময় আগে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় তার ও অন্য স্ইুফটিদের কয়েক শ ডলার ক্ষতি হয়েছে। ক্যালগেরিভিত্তিক এয়ারলাইনটি তাকে জানিয়েছে যে, অপরিকল্পিত উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে এই ফ্লাইট বাতিল। নিরাপত্তার জন্যও এটার দরকার ছিল।
এক লিখিত প্রতিক্রিয়ায় ওয়েস্টজেট এটা নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, তাই কানাডার এয়ার প্যাসেঞ্জার প্রোটেকশন রেগুলেশন্সের আওতায় হ্যানসন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য নন।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, নিরাপত্তা জরুরি এমন পরিস্থিতিতে এয়ারলাইনগুলোর যাত্রীদের সেবা দেওয়া এবং তাদের ভ্রমণ সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
হ্যানসন বলেন, প্রিন্স জর্জ থেকে সন্ধ্যার ফ্লাইট প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দেরি করে ওয়েস্টজেট। এরপর ৫ ডিসেম্বরের ফ্লাইটটি বাতিল করে।
নীতিমালার অধীনে তিন ঘণ্টার বেশি বিঘ্ন ঘটলে এয়ারলাইনগুলোর জন্য একই শ্রেণির বিকল্প ভ্রমণ সুবিধা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু হ্যানসন বলেন, তাকে ৮ ডিসেম্বরের ফ্লাইটে ভ্রমণের প্রস্তাব দেওয়া হয়, যার অর্থ হচ্ছে সুইফটের শোর কোনোটিই তিনি ধরতে পারতেন না।
এর পরিবর্তে তিনি ৭৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তিনি যাত্রীদের একটি গ্রুপের সঙ্গে যোগ দেন। মধ্যরাতে তারা যাত্রা আরম্ভ করেন এবং প্রথশ শোর আগে ৬ ডিসেম্বর ভ্যানকুভারে পৌঁছান। বিসি প্লেসের সবগুলো কনসার্টেই যোগ দেন হ্যানসন।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের থাকার ব্যবস্তা করা বাবদ তার খরচ হয়েছে ৯০০ ডলার এবং কার ভাড়া বাবদ ৭৭০ ডলার। উভয় খরচ তিনি ভাগ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং ওয়েস্টজেটের কাছে ৪০০ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। কোনো একটি কোম্পানির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা ও কাজ না করাটা পরিহাসের।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.