0.2 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

নিজে প্রার্থী হই নিজেই ভোট দেই

নিজে প্রার্থী হই নিজেই ভোট দেই
প্রতিটি জয়ের সাথে আমার ব্যক্তি মার্কা টিকে যায় কিছুদিনের জন্য

আমার ব্যক্তি জীবনও গণতান্ত্রিক। জয় পরাজয়ের মধ্য কাটে আমারও প্রতিদিন। আমি নিজে প্রার্থী হই নিজেই ভোট দেই।

আমার মার্কা কী জানি না এবং কে আমাকে নির্বাচিত করে তাও বুঝি না। তবে, দৈনন্দিন যুদ্ধে হারলে আমি দুঃখ পাই জিতলে খুশি হই।

- Advertisement -

প্রতিটি জয়ের সাথে আমার ‘ব্যক্তি মার্কা’ টিকে যায় কিছুদিনের জন্য। যদিও আমার নেই পাঁচ বছরের চক্র এবং নির্বাচন কমিশনের আওতার বাইরে থাকি তবুও আমার কমিশন অনেক বেশি বিস্তৃত ও জাগ্রত।

আমি দূর করতে চাই দমকা ভয়। হেরে যাবার ভয়, মরে যাবার ভয়। মানুষ মাত্রই এই চরিত্র। এর বাইরে গেলে সে অতিমাত্রায় মানবিক। তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাঁদের কেউ আক্রমণ করতে পারে না। কিন্তু আমি আক্রান্ত হই। আমাকে ঘিরে ধরে বেশ কিছু অনিশ্চয়তা।

এই পৃথিবীতে সবচাইতে দামী বিষের নাম দেশপ্রেম হীনতা। দেশপ্রেম হীনতা একবার মগজে ঢুকে গেলে নামে না কোন ঝাড়ফুঁকে, সে বিষ চুষে নিতে পারে না কোন ওঝা। কিছু মানুষ দেশপ্রেম হীন হয় একা একা, কিছু মানুষ দলবদ্ধ ভাবে। দেশ থেকে দল বড়, দল থেকে তাদের খল বড়। আমি এদের ভয় পাই, একেবারে নিরীহ হয়ে যাই ওদের সামনে।

যারা দেশ প্রেম বোঝে না, মানবতা নেই যাদের; তারা ঘাপটি মেরে থাকে দল থেকে দলান্তরে একথা সকলেই জানে। এদের নেই আগামীর চিন্তাভাবনা। নির্বচন পরবর্তী পরিবেশে তাই এদের কেউ কেউ ক্ষতবিক্ষত করে নারীর স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা ও স্বাধীনতা। এরা বোঝে না রক্ত ঝরা দেহ জন্ম দেয় না গ্রহণযোগ্যতা। এরা আগুন দেয়, হাতে তুলে নেয় হাতুড়ি। ভাঙ্গে দেওয়াল মন্দির গির্জা।

সত্যি কথা বলতে কি, চাই না এমন সমর্থক গোষ্ঠী, প্রার্থী কিংবা নেতাফেতা। তবুও নির্বাচন হয়, জাল ভোট পড়ে। কিছু কিছু কার্যকলাপ নিশ্চিত বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যারা এসমস্ত করে ওরা আজ মিত্র হলে আগামীতে এক পলকেই শত্রু। ওরা মাথার উপর কেশের মত বৃদ্ধি পায় যা কেটে ফেলতে হয়। না হলে জট পেকে যায়।

আরও বাদ দিতে হবে সেই সব বিষাক্ত নীল মানুষগুলো যারা বোঝে না মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। বোঝে না ২১ ফেব্রুয়ারিতে কেন শহীদ মিনারে যেতে হয়। স্বাধীনতাদিবস বিজয় দিবসের ডাক ওরা শোনে না। পুরো দেশ যখন পহেলা বৈশাখে মাতাল তখন ওরা সাদা শাড়ির সাথে সবুজ ব্লাউজ পরে। কতবার বলেছি যে সাদা আর সবুজের কম্বিনেশন খুবই খারাপ। তবুও পতাকার মত কাঁপে এ’দুটি রঙ। কাজেই, যাদের নেই রাজনৈতিক বোধশক্তি, যারা হাজার বছরের ইতিহাস পাঠ করে ভিন্ন পাড়ে দাঁড়িয়ে, তাদের সঙ্গ পরিহার্য সর্বাগ্রে।

কাজেই যাকে আমি সমর্থন দেই তার কারণ এই নয় যে তিনি অধমের চাইতে উত্তম। বরং তাঁকে মনে করি তিনি এক পক্ষের কাণ্ডারি। তর্ক করলে অনেক করা যায়। এক মাঘে সে তর্ক শেষ হবার নয়। কে কোথায় উজ্জ্বল তা ধরাছোঁয়া করতে গেলে ছুটতে হবে দিক্বিদিক তাই আমার অজ্ঞানতা দিয়েই স্পষ্ট করি তার উজ্জ্বলতা, তিনি দেশপ্রেমে জ্বলন্ত চন্দ্রিমা এবং তাঁর জ্বলে ওঠার উৎস দেশের দশ জনা।

আশা রাখি, একদিন তিনিও হবেন হ্যামিলনের বংশীবাদক। তাই কান পেতে রই। বাঁশি বাজবে। খানা-গর্তে লুকিয়ে থাকা নীল মানুষগুলো বের হয়ে পায়ে পায়ে সমুদ্রে চলে যাবে।

 

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles