-0 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

হ্যালো মা

হ্যালো মা
ছবিরাসেদ হোসেন

পালিয়ে বিয়ে করে যা ভুল করার সে করে ফেলেছে। মা কে অনন্ত জানানো প্রয়োজন হয়তো খুব চিন্তা করছে। মা কে বুঝতে দেয়া যাবে না সে কত বড় ভুল করেছে। কত বড় সমস্যায় আছে এখানে। এতো আঘা মা সহ্য করতে পারবে না। তারচেয়ে বরং নিজেকে সুখি প্রমাণ করা ভালো,তাতে মা চিন্তা মুক্ত হবে কিছুটা।

রাহি চলে এসেছে। এখন তাকে আগের মতোই ধীর-শান্ত মনেহচ্ছে। তারা মাকে আবার কল দিল। মনে মনে নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়েছে।

- Advertisement -

তরু ফোন রিসিভ করেছে-

-হ্যালো মা।

-তারা,তুমি কোথায়। স্কুলে যাওনি বাসায় ফিরছো না। তি জানো তোমার জন্য আমি পাগল হয়ে গেছি। তোমার মামি আমার মাথায় পানি দিয়ে শেষ করেছে কিছুক্ষণ আগে।

-মা,আমি রাহির সাথে।

-রাহি কে। প্রিয়ম কে তোমার বাবা কক্সবাজার দেখেছে একটা বৃদ্ধ লোকের সাথে। রাহি কে তোমার কোন বন্ধু?

– হুম,মা আমি রাহির গ্রামের বাড়িতে। মা তুমি দুঃখ পেওনা। আমি এখানে খুব ভালো আছি। রাহি আর আমি বিয়ে করেছি মা।

-তুমি রাহি কে বিয়ে করতে চাও?

-না, মা আমরা বিয়ে করেছি?

-বুঝতে পেরেছি। রাহি কে বিয়ে করতে চাইছো। সমস্যা নেই তুমি রাহি কে নিয়ে বাসায় আসো। তোমার বাবা,মামা সবাই মিলে রাহির সাথে ওর পরিবারের সাথে কথা বলবো। তারপর তোমাদের একটা ভালো সময় দেখে আয়োজন করে বিয়ে হবে।

-মা তুমি কি কানে শুনতে পারছো না। নাকি আমি ঠিকঠাক বলতে পারছি না? আমি বিয়ে করেছি, এখন শ্বশুর বাড়ি তে আছি মা।

-তারা,তুমি প্রাঙ্ক করছো না তো।

-না,মা।

তারার কাছ থেকো রাহি ফোন টা নিয়ে কানে ধরে সালাম দিয়ে বললো-

-মা আমি তারা কে বিয়ে করেছি দোয়া করবেন।

-তুমি কে বাবা? কেন এমন করেছো? তারার কাছের ফোন টা দাও।

তরুর মাথায় আকাশ টা ভেঙে পড়েছে,অনুভব করছে পায়ের নিচে মাটি ও সড়ে গেছে। এ কেমন অদ্ভুত অনুভূতি।  পাশেই ছির পারুল তারা,তরুর কানে মোবাইল ধরা থাকলে তারা ও রাহির সব কথাই পাশ থেকে শুনতে পারছিল। হাউমাউ করে তরু কেঁদে উঠলো।  তরুর বুক ফাঁটা আর্তনাদে  জেনো পৃথিবীর কেঁপে উঠলো। কেঁদে উঠলো আকাশ বাতাস। ঠিক এই মহূর্তে-ই আকাশ মেঘে মেঘে ঘর্ষণে সৃষ্টি হলো বিকট আওয়াজ।

-তারা তুমি কেন এমন করলে। তুমি রাহি কে পছন্দ করো একটা বার আমাকে জানতে পারতে। তুমি আমাদের সম্মান নষ্ট না করে আমার কলিজায়  একটা ধারালো ছুড়ি বসিয়ে দিতে পারতে। বিশ্বাস করো সেই  ছুড়ির আঘাত এক কষ্টদায়ক হতো না আমার জন্য।  তুমি এতো বড় একটা কাজ কি ভাবে করলে?

-সরি মা। আমাকে ক্ষমা করো। নিজের দিকে খেয়াল রেখো।

বলে লাইন টা কেটে দিয়ে। রাহি কে জড়ি দয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো তারা।

-কেন আমি এমন করলাম রাহি? কেন আমি আমার মায়ের সম্মান নষ্ট করলাম?

তুমি ও তো আমাকে বুঝাতে পারতে।

-তারা আস্তে পাশের রুমে আম্মা শুনতে পাবে। আম্মা ও যে খুব আনন্দ পাচ্ছে তা নয়। সকালে আব্বা বাড়ি ফিরে যদি এসব জানতে পারে কি হবে বুঝতে পারছি না। আমি নিজে ও বুঝতে পারিনি কেন এমন করল। এখন আমার কি করা উচিত।

———

পারুল তরুর চোখ মুখ মুছে দিয়ে এক গ্লাস জুস করে আনলো। তরুর মা-বাবা হতবিহ্বল।

পারুল তরু কে জড়িয়ে ধরে আছে। তরুর হাত পা কাঁপছে। এর মধ্যে বমি ও করেছে। প্যানিক এট্যাক হওয়ার উপক্রম।

-ভাবি তারার একা থাকবে শুধু এই কারনে কত সুখ-ই তো বিসর্জন দিলাম। মেয়ে টা কেন এমন করলো ভাবি।

-তরু শান্ত হও। তারার বাবার মধ্যে এই  বিশ্বাস ঘাতকার

স্বভাব আছে । বাবার রক্ত তো সন্তানের গায়ে প্রবাহিত হবে স্বাভাবিক। তুমি বরং তোমার কথা ভাবো। এই মেয়ে মেয়ে করে তো আবিরের সাথে ট্যুরে পর্যন্ত গেলে না।

পারুল কথা গুলো খুব রেগে গিয়েই বলেছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles