
পরকীয়া সমাজে বিতর্কিত একটি বিষয়। ভালোবাসা, বিশ্বাস আর দায়িত্ববোধের মাঝে ফাটল ধরিয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পরকীয়ার জন্য আসলেই কে দায়ী? প্রতারক সঙ্গী, উপেক্ষিত ভালোবাসা, নাকি পরিস্থিতিই মানুষকে ঠেলে দেয় এই পথের দিকে?
বিভিন্ন গবেষণা বলছে, পরকীয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। সম্পর্কের প্রতি একঘেয়েমি, সঙ্গীর অবহেলা, মানসিক বা শারীরিক দূরত্ব, কিংবা আবেগের অভাব অনেককেই ঠেলে দেয় নতুন সম্পর্কে জড়ানোর দিকে। কেউ কেউ আবার উত্তেজনা ও নতুনত্বের সন্ধানে ভুল সিদ্ধান্ত নেন।
বিশ্বাসের অভাব নাকি সম্পর্কের শিথিলতা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ পরকীয়া তখনই ঘটে যখন সম্পর্কের এক বা উভয় পক্ষ একে অপরের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগী থাকেন না। পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি, সময়ের অভাব, বা অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণতা সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়। ফলে একজন সঙ্গী নতুন আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হন।
তৃতীয় ব্যক্তি নাকি মূল সমস্যা সম্পর্কের ভিতরেই?
অনেক সময় সম্পর্কের বাইরে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি দোষী বলে মনে করা হয়। কিন্তু সত্যি কি তৃতীয় পক্ষই মূল কারণ, নাকি সম্পর্কের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনই মানুষকে পরকীয়ার দিকে ঠেলে দেয়? বিশ্লেষকদের মতে, অনেক সময় একজন মানুষ ইচ্ছা করেই নতুন সম্পর্কে জড়ান না, বরং সম্পর্কের শূন্যতা তাকে সেই পথে চালিত করে।
সমাধান কী?
পরকীয়ার মূল কারণ খুঁজে বের করে সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি। খোলামেলা আলোচনা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আবেগগত সংযোগ বজায় রাখার মাধ্যমে এমন পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, দরকার আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা এবং একে অপরের প্রতি সময় দেওয়া।