
১৯৭২ সালের অক্টোবরে যখন জাসদ গঠিত হয় তখনো অনেক সাড়া পড়েছিল কিন্তু জাসদ নেতৃত্ব তাদের ঘোষিত লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছিল ফলে পরিনতি আমরা দেখতেই পাচ্ছি।
তবে আজ ৫৩ বছর পরে নুতন রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশের দিনে কিছু ভাল দিক লক্ষ্য করছি। সুপার টেইনে তিনজন নারীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে। কোরান, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করে অনুষ্ঠান শুরু করায় সব ধর্মের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিছু ভিন্ন ধর্মের লোকজনকেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে জানতে পারছি। গুড সাইন। তবে এখনো কিছু তবে এবং কিন্তু রয়ে গেছে। যেমন রাজনৈতিক দলগুলো দাওয়াত দেবার ব্যাপারে কাউকে দেয়া হয়েছে আবার কাউকে দেয়া হয় নি। সত্যিকারভাবে বলতে গেলে অতীতে বামপন্থীদের রাজনীতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তারা যে কোন দলীয় সম্মেলনে শেষে বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলে পুস্তিকা বের করে আর তার একদিন পরেই দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটো বা তিনটা দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরকে সংশোধনবাদী, পেটি বুর্জোয়া ইত্যাদি নামে অভিযুক্ত করে দলটাকেই ধ্বংস করে দেয়। কাজেই ঐক্যের কথা বলে বিভাজন টিকিয়ে না রেখে ধীরে ধীরে রিকনসিলিয়েশনের দিকে যেতে হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোর যথেষ্ট অবদান থাকা সত্ত্বেও মনে হচ্ছে তাদেরকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় নি যা ছাত্র সংসদ গঠনের পর পরই পরিলক্ষিত হয়। এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে এগুতে পারলে ভাল হবে। গুড লাক।
দুই.
প্রথমবারের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম আব্দুর রবকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং নুতন ছাত্র সংগঠন গনতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সহ অন্যান্যরা।
ঐতিহাসিক বটতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ইতিহাস যারা নির্মাণ করে, তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ আ স ম আবদুর রবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীন সংগ্রামে তার অবদান এবং পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার ভূমিকা তুলে ধরেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি : পরে বেলা আড়াইটায় একই স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
এ সময় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২ মার্চ তত্কালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জাতীয় জীবনে দিনটির তাত্পর্য ধরে রাখতে আমরা এ কর্মসূচি পালন করছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকেরা নির্বাচনের পরও ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে টালবাহানা করছিল, সেই সংকটকালে তত্কালীন ডাকসুর নেতারা দেশের হাল ধরেছিলেন। দেশের মানুষের দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে ডাকসুর ভিপি স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনো নানা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আবার ডাকসুর নেতারা হাল ধরবে বলে বিশ্বাস করি। সেজন্য ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। তাদের চাওয়াপাওয়া নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই পূরণ করবে।’
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে আমি একটি পোষ্ট দিয়ে আশা করেছিলাম যে স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে এখন এইসব গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো পালন হয় কিনা এবং হলে সেখানে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও অন্যান্য জাতীয় বীরদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়া হয় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমি ধন্যবাদ জানাই সংশ্লিষ্ট সকলকে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্যে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্যে আহবান করি।
তিন.
আজকের রমজানের দ্বিতীয় দিনে একটা সমস্যা নিস্পত্তি করতে বিকেল তিনটার দিকে একটা রেষ্টুরেন্টে বসলাম। পাশেই লোকজন খাচ্ছে। এমনকি আমার টেবিলের তিনজনের একজন কফি নিয়ে বসলেন। আমি সিরিয়াস রোজাদার, কোন সমস্যাতো আমার হলো না। বলারও দরকার হলো না যে ভাই আমি রোজাদার, আমার সামনে খাওয়া দাওয়া করবেন না! ট্রেনে, বাসে, অফিসে যেখানে যাব, সেখানেই এত ভীড়ের মধ্যেও কেউ না কেউ খায়, নাকের মধ্যে ঢুকে, কেউ কিছু বলে না, সমস্যাতো কারো হচ্ছে না। ধারণা করি আল্লাহ তায়ালা এতে করে রোজাদারদের কিছু সওয়াব বাড়িয়ে দিবেন।
প্রায় প্রতি ঈদ, রোজা আমরা একসাথে করতে পারি না। কেউ ২৯ দিন, কেউ ত্রিশ দিন। কেউ চাঁদ দেখা ছাড়া অন্য কিছু মানেন না, কেউ বলেন এখন আর চাঁদ দেখার প্রয়োজন নাই। শীত প্রধান দেশে বেশীরভাগ সময় মেঘলা থাকে আকাশ। কে কখন কিভাবে চাঁদ দেখে জানি না। রাতে খবর নেই হেলাল কমিটি কী বলেছে? দোয়াললিন না জ্বোয়াললিন, তারাবী বিশ রাকাত নাকি আট রাকাত! মাজারে যাওয়া ঠিক না বেঠিক! নামাজে কেউ বুকে হাত দেয় কেউ পেটের উপর, আমিন কেউ জোরে বলবে কেউ আস্তে বলবে, ওহ মাই গড। হাজারো বিষয় নিয়ে বিভক্তি।
এদিকে ট্রাম্প মিটিমিটি হাসে! বলে, গাজা খালি কর, ফাইব স্টার রিসোর্ট বা হোটেল বানাবো! প্রায় পন্চাশ হাজার নারী শিশু, বৃদ্ধের রক্তাক্ত ছিন্ন ভিন্ন দেহ আর হাজার হাজার বহুতল ভবনের ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করে তারা রিসোর্ট বানাবে, জীর্ণ শীর্ণ অবশিষ্টরা যাবে সৌদি কিংবা মিসরের পড়ে থাকা তপ্ত মরুভূমিতে!
হে পাষন্ড মুসলিম, তুমি পড়ে থাক চকবাজারের বাহারী ইফতারী আর দোয়াল্লিন জোয়াল্লিন নিয়ে, তোমারই অনাহারী বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনি ভাই বোনের আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করা দীর্ঘশ্বাস তোমার কর্ণকুহরে কি একটুও আঘাত করে না? তোমার বুকের পাজরের একটি হাড়ও কি ভেঙে চৌচির হয় না?
স্কারবোরো, কানাডা