
মার্ক কার্নিকে আবারও অভিনন্দন। আজকে তার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ট্রুডো যুগের অবসান হল।
আমার কাছে অন্যতম পকেটবুক ইস্যু ছিল কার্বন ট্যাক্স। শুধু গ্যাস বিলেই প্রায় ৫০ ডলার কেটে নিত এই কার্বন ট্যাক্স এর নামে (ছবিটা দেখুন) । কার্নি এসে প্রথমেই এটা বাতিল করে দিয়েছেন।
কার্নির পারিষদ খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন, ট্রুডো টিমের প্রায় পুরোটাই তার সাথে গিয়ে জুটেছে। বিশেষ করে ক্রিষ্টিয়া ফ্রিল্যান্ড যে কিনা গত ১০ বছর ধরে কানাডার অর্থনীতিকে বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে, সেও পদের লোভ ছাড়তে পারেনি। ফাইনান্স মিনিস্টার হিসেবে পদের কি না অপব্যবহার করেছে? ভিন্নমতের কারণে হাসতে হাসতে লোকজনের ব্যাংক একাউন্ট বাজেয়াপ্ত থেকে শুরু করে ট্রুডোর সাথে মিলে জরুরি অবস্থা জারি, কোনটাই বাদ রাখেনি। তাই কার্নি যখন বলেন, উনার একেবারে নতুন টিম, তাতে বলতে হয়, নট সো মাচ নিউ কেবিনেট ।
আগের পাবলিক সেফটি মিনিস্টার মারকো মান্দেচিনোর কথা মনে আছে, বা আগের বিচার মন্ত্রী ডেভিড লামাটি? হাউজ অফ কমন্সে সিরিয়াল কিলার পল বার্নাডোকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়া থেকে শুরু করে জরুরি অবস্থা জারি, এসব নানান ঘটনার দায়ভার নিয়ে তারা পদত্যাগ করেছিলেন। এবার সুযোগ বুঝে কার্নির সাথে আবার জুটে গিয়েছেন। তারা নিয়োগ পেয়েছেন
কার্নির পলিসি অ্যাডভাইজার বা ডিরেক্টর হিসেবে।
শুনছি, প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে তিনি ইউরোপ যাচ্ছেন। যাওয়া দরকার ছিল ওয়াশিংটনে, ট্রাম্পের সাথে আলাপ করে যদি ট্যারিফ নিয়ে কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা করা যেত।
স্টীল এর উপর ট্যারিফ এর কারণে অন্টারিওতে ইতিমধ্যেই কোম্পানিগুলোতে ছাটাই শুরু হয়েছে।
এই অবস্থা চলতে থাকলে কানাডার অর্থনীতিতে ধ্বস নামা ছাড়া কোন উপায় নেই। ট্যাক্স ও ট্যারিফ এ দুটোর বিচারে কানাডা কোনভাবেই কম্পিটিটিভ নয়। তাই কোম্পানিগুলোর জন্য কোন রেহাই যদি সরকার ব্যবস্থা করতে না পারে, তাহলে কোম্পানিগুলো সীমান্তের দক্ষিণে পাড়ি জমাবে। তার পরিণতি হবে আরো করুণ। মানুষজন চাকরি হারাবে, সেই সাথে নেমে আসবে অর্থনৈতিক মন্দা।
তাই কার্নির উচিত ছিল ওয়াশিংটনের দিকে মুখ ফিরানো, কোনভাবে ট্রাম্প প্রশাসনকে বুঝিয়ে যদি ট্যারিফ এর একটা সমাধান করতে পারত।
তাই ট্রুডোর ফেলে যাওয়া টিমকে দিয়ে নতুন কিছু হবে সেটা আশা করা যায় না। ওল্ড ওয়াইন ইন এ নিউ বটল।
টরন্টো, কানাডা