12.3 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০, ২০২৫

আলহামদুলিল্লাহ !

আলহামদুলিল্লাহ ! - the Bengali Times
পেঁয়াজ থেকে রসুন আলু শসা গাজর থেকে সয়াবিন তেলের দাম পর্যন্ত মানুষের কেনার নাগালের মধ্যে

বাংলাদেশে রমজান মাসে বাজার দর দেখে খুবই আশ্চর্য মনে হচ্ছে! এমনকি অনেক সবজি শুধুমাত্র কুড়ি টাকা কেজি দরে বিক্রি করতেছেন বিক্রেতা। পাঁচ কেজি একশো, ছয় কেজি একশো এমন দামে বিক্রির ঘোষণা দিচ্ছেন দোকানদার ভাই।

পেঁয়াজ থেকে রসুন, আলু, শসা, গাজর থেকে সয়াবিন তেলের দাম পর্যন্ত মানুষের কেনার নাগালের মধ্যে।

- Advertisement -

এটা অত্যন্ত ভালো খবর। পাশের দেশের পণ্যের ওপর বেশি ভরসা করার দরকার নেই।

যেমন, কানাডাও এখন নিজেদের জিনিস নিজেদের মধ্যে বিক্রির প্রচণ্ডভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। এটা হওয়া উচিত ছিল আরো আগে। এখন তো সবাই বলতেছেন “কানাডার পণ্যের ওপরে শুল্ক আরোপ বা সার্বভৌমত্ব হরণের চেষ্টার হুমকি এসব কানাডার জন্য একটা wake-up call.” এই wake-up call আরো আগে দরকার ছিল। তাহলে কানাডাকে এতটা উৎকন্ঠিত হতে হতো না। কোনো কারো ওপরে বা এক দেশ আরেক দেশের ওপরে এতটা হেলান দেওয়া ঠিক না।

যাই হোক, বর্তমানে একটু হুঁশ হয়েছে কানাডার। এমনকি তেলের পাইপ লাইন Alberta থেকে কুইব্যাকে সরাসরি লাগানোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী Jean Chrétien.

তবে ট্রাম্প কিন্তু এক আশির্বাদ হয়েছেন কানাডার জন্য। অনেকেই বলতেছেন গিফট। ক্যামনে? এই যে ওনার নানামুখী কানাডা বিরোধী আচরণ, এটাতে কী হয়েছে? সমগ্র কানাডিয়ানদের ঐক্যবদ্ধ করে ফেলেছে এতটা ঐক্যবদ্ধ আগে দেখা যায় নি। সবাই কানাডাপ্রেমী হয়েছেন, দেশ প্রেমের সর্বোচ্চ  অনুভূতি যে যার মতো করে তুলে ধরছেন। নিজেদের জিনিসের ওপর নির্ভরতা ও পছন্দ বাড়ছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রেটি, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে কানাডার first nation পর্যন্ত কানাডাকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন নিবিড়ভাবে।

ডাগ ফোর্ড থেকে মার্ক কার্নি সর্বোচ্চভাবে নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র ট্রাম্প ইস্যু  মোকাবেলার শর্তে। এই দুইজন শক্তিশালী নেতা দুই দলের কিন্তু। ফোর্ড কনজারভেটিভ দলের, আর কার্নি লিবারেল দলের। কিন্তু কী দেখা গেছে? তাঁরা দুইজন কিন্তু একেবারে বন্ধুর মতো হাতে হাত মিলিয়েছেন। পরামর্শ করছেন। দুইজন একটা হোটেলে বসে ব্রেকফাস্ট করেছেন। তারা দলীয়ভাবে যে ভাবাদর্শ বা মতাদর্শের হন না কেন, ট্রাম্পের আবির্ভাবের কারণে ফোর্ড ও কার্নি এখন এক হয়ে কাজ করছেন। এই যে একটা ঐক্যবদ্ধতা তা মাত্র দুইজন নেতার মধ্যে হোক তাও তো অনেক। দুইজন বলছি কেন? কানাডার সবকটা প্রভিন্সের প্রিমিয়াররা এক হয়ে কানাডা টিম গঠন করেছেন। শুধুমাত্র Alberta’র প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল স্মিথ ছাড়া।

যাই হোক, যেটা নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম সেটার কথাই বলি। নিজেদের পণ্যের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে কিছুটা অন্য দেশে পাঠাতে হবে যেসব দেশ ট্রেড চুক্তিতে বন্ধুর মতো আচরণ করবে।

তবে অন্তত বাংলাদেশের বাজার দর এতকাল পর এতটা সাধ্যের মধ্যে এসেছে এটা একটা বিশাল ব্যাপার।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

 

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles