
ঘুমন্ত মানুষ মেরে মজা নেই।
তাই সেহরি একটা ভাল সময়। রোজা রাখার প্রস্তুতি নেবার মুহূর্তে তাদের খুন করা গেলে একটা বিকৃত প্রতিশোধ নেয়া যায়। এ সময় অন্ততঃ সবাই বাসায় থাকে। অনেক ছোটরাও উঠে পড়ে বাবা মায়ের সাথে। এমনিতেই সার্বক্ষণিক আতংক; পেছন ফিরে তাকালেই শুধু লাশ আর লাশ; ষাট হাজারের বেশি গত দেড় বছরে। মুহূর্তে বুলেট আর বোমা ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে যে-কাউকে। কোনো বাছ-বিচার নেই। হতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা মা, এক দিনের শিশু, কিংবা নব্বই বছরের কেউ। টার্গেট হতে পারে হাসপাতাল, বাসা, মসজিদ কিংবা বাচ্চাদের স্কুল।
কারো রেহাই নেই। এক রাতেই চারশোর বেশি পুরুষ , মহিলা, শিশু শেষ। হামাস নিধন একটা অজুহাত মাত্র।তারা বেছে বেছে ঘন জনবসতি এলাকায় বোমা ফেলে। তাদের টার্গেট মানুষ কমাও; যাতে ফিলিস্তিনিদের চাইতে ইসরাইলিদের সংখ্যা বেশি হয়। মানুষ মেরে নেতানিয়াহু শান্তি খুঁজে পায়। নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
ইসরাইল মানেই ইউএসএ।
বাবা মায়েরা চায়, তাদের বাচ্চাদের যদি মরতেই হয়, তবে যেন তাদের মৃত্যু যন্ত্রনা কম হয়। যেন খুব কম সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। আর লাশটা যেন আস্ত থাকে। অন্ততঃ কবরটা যেন ঠিকমত দেয়া যায়। কে কার জানাজা পড়বে তার কোনো ঠিক নেই।
ইসরাইলিদের আমি মেধাবী বলতে নারাজ। একটা হায়েনা যতই মেধাবী হোক না কেন, সে হিংস্রভাবেই জীবন্ত হরিনের পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি টেনে বের করে খাওয়া শুরু করবে। মানবতা ছাড়া মেধার মূল্য শূন্য।
কথা হচ্ছে, সবকিছুরই শেষ আছে। কতদিন ইসরাইল টিকে থাকতে পারবে? হতে পারে আরো বহু বছর, শত কিংবা সহস্র বছর? প্যালেষ্টাইনে একটা বারো বছরের শিশুকেও লড়াই করে ঠিক থাকতে হয় ক্ষমতাধর আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করে। হয়তো পরজীবি ইসরাইলিদের সাম্রাজ্য হবে অনেক বিস্তৃত, যা আমাদের কল্পনারও অতীত। লক্ষ-কোটি বর্গমাইল। এমনটাই তাদের পরিকল্পনা।
কিন্তু তারপর?
কোনো প্রতিবাদই বৃথা যায় না, মূল্যহীন নয়। হোক সেটা ফেইসবুকে, সশরীরে, কূটনৈতিক। আর যদি সেটা হয় সারা বিশ্বব্যাপী, সেটার মূল্য অপরিসীম।
অটোয়া, কানাডা