
টলিপাড়ার একসময়ের ‘হিট জুটি’ জিৎ-স্বস্তিকা। পর্দার পাশাপাশি তাঁদের অফস্ক্রিন রসায়নেও ছিল জম্পেশ! ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত একটানা বহু হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তাঁরা। শোনা যায়, সেইসময়েই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন জিৎ-স্বস্তিকা। যদিও সেই ‘ওপেন সিক্রেট’ নিয়ে দু’জনের কেউই কখনও সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেননি। পরবর্তীতে ছয় বছরের সম্পর্কে ইতি টেনে যে যাঁর নিজের মতো নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন। কোনও মান-অভিমান নেই! সম্প্রতি ফিল্ম ফেয়ারের অনুষ্ঠানেও জিৎ-স্বস্তিকাকে আলাপচারিতায় দেখা যায়। এবার জিতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে অকপট অভিনেত্রী।
তাঁদের প্রেম ভাঙায় নাকি সবথেকে বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন মেয়ে অন্বেষা। সেই বিচ্ছেদ কতটা প্রভাব ফেলেছিল স্বস্তিকার পরিবারে? সম্প্রতি ফিল্ম ফেয়ার বাংলার সাক্ষাৎকারে জিতেশ পিল্লাইয়ের মুখোমুখি হয়ে প্রথমবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। স্বস্তিকা বলেন, “আজও আমার মেয়ে জিতের পক্ষ নিয়েই কথা বলে। আমরা ৬ বছর সম্পর্কে ছিলাম। ও তো এখনও আমার উপর রেগে গিয়ে বলে- তোমারই দোষ ছিল। যাই হোক না কেন, আমি কখনো ক্ষমা করব না তোমাকে। আসলে জিৎ ওর খুব কাছের ছিল। আর বড় হওয়ার পর তো এও বলে, এত সুদর্শন, হ্যান্ডসাম… মা এটা তুমি কী করলে!”
শুধু মেয়ে অন্বেষা নয়, জিৎ-স্বস্তিকার বিচ্ছেদ প্রভাব ফেলেছিল অভিনেত্রীর মা এবং বোন অজপার মধ্যেও। জিতেশ পিল্লাইয়ের মুখোমুখি হয়ে অকপটে সেকথাও জানান স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। হাসিমুখেই অভিনেত্রী বলতে শোনা যায়, “এমনকী আমার মা এবং বোন সকলেই জিতের পক্ষ নিত সবসময়ে। জিতের বিয়েতেও গিয়েছিল ওঁরা। বোনের অঝোরে কান্না দেখে আমি বলেছিলাম, এসব কী নাটক হচ্ছে?” সেই সাক্ষাৎকারেই স্বস্তিকার সংযোজন, “জীবনে ছ’বার গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম। কিন্তু সেটাই মনে হয় ৬০০টা! তবে আমি কখোনোই ওই নাটুকে দেখনদারিতে যাইনি। আজকাল তো কারও সঙ্গে কফি খেতে গেলেও বলা হয়, ‘এরা প্রেম করছে।’ যদিও এসব গুঞ্জন আর আমাদের মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলে না।” কী কারণে জিতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে? সেই বিষয়ে কোনওদিনই মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। এদিকে স্বস্তিকার সঙ্গে বিচ্ছেদের বছর খানেক বাদে জিৎ বিয়ে করেন। মোহনার সঙ্গে বর্তমানে তাঁর সুখের ঘরকন্না। তবে চল্লিশ ছুঁয়ে অভিনেত্রী যেন বরাবরের তুলনায় আরও বেশি অকপট। সৃজিত মুখোপাধ্যায় হোক কিংবা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তনদের নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন না।