সম্প্রতি থাইল্যান্ডে বিমসেটেকের নৈশ ভোজে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওংয়ের সঙ্গে ফোনে নানা বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। অজিত দোভালের সঙ্গে আমার অনেকক্ষণ আলাপ হয়েছে। আমরা আলাপে মগ্নই ছিলাম।
আমি সব জানাব, আমার স্মৃতি কথায়।’
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যে সম্পর্ক—সেটা কোনো ব্যক্তি কিংবা দলের সঙ্গে নয়। এটা রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক।
আমরা কিন্তু তা-ই মনে করি। এটা দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক এবং সেই ভিত্তিতেই আমরা দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেব।’
সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের সময় ৫-৭ দিন যখন সরকার ছিল না, তখন নানা ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যে দলের পতন ঘটেছে তাদের (সমর্থক) মুসলমান-হিন্দু নির্বিশেষে নানা ধরনের হামলা হয়েছে।
এটা দুঃখজনক। কারণ আইন হাতে নেওয়া উচিত নয়। তবে এখন সবাই সেটা বুঝতে পেরেছে যে দেশে সেই আগের অবস্থা নেই। এই ধরনের ঘটনা ওই মাত্রায় আর ঘটেনি। তবু আমরা বলব, আমরা কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব দেখতে চাই না।
সরকার কিন্তু সব কিছু করতে পারবে না। এখানে সামাজিক কিছু দায়িত্ব আমাদের আছে। আমাদের সবাইকে মিলে এই কাজ করতে হবে। আপনারা বলছেন—ভারতে হচ্ছে, সেখানে হবে বলে কি আমাদের দেশেও হবে নাকি! আমরা নিজেদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হিসেবে নিজেদের অভিহিত করি। সেই কাজ আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।’