
কোভিড-১৯ মহামারির সময় নতুন ও ব্যবহৃত গাড়ির দাম সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছায়। কিন্তু সাম্প্রতিকি মাসগুলোতে গাড়ির দাম কমে আসছিল। গত বছর ব্যবহৃত গাড়ির দাম প্রায় ১২ শতাংশ হ্রাস পায়। যদিও গাড়ির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কার্যকর হওয়ায় দাম আবার বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে গত মার্চে গাড়ি বিক্রি প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। আমেরিকান ভোক্তারা শুল্কের প্রভাব নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বিগ্ন হওয়ায় পরিপ্রেক্ষিতে গাড়ি বিক্রিতে এই উল্লম্ফন। যদিও কানাডিয়ান ভোক্তারা অধিকত সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
ইউজড কার ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন অব অন্টারিওর (ইউসিডিএ) নির্বাহী পরিচালক জেমস হ্যামিল্টন বলেন, বিক্রি কমেছে, কারণ ভোক্তারা স্বস্তিতে নেই। তারা এখন তাদের পকেট বন্ধ রেখেছেন, কারণ সামনে কী আছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত সব ধরনের গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকরের ফর হিসেবে গাড়ির দাম বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যাসোসিয়েশনের পাঁচ হাজার সদস্যের জন্য এটা ভালো খবর নয়, যাদের বেশিরভাগই ডিলার। তারা বলছেন, ব্যবহৃত গাড়ির দাম পিছিয়ে থাকবে না। এটা শিল্প ও ভোক্তা কারো জন্যই ভালো নয়।
হ্যামিল্টন বলেন, সব বিশেষজ্ঞই বলছেন, নতুন গাড়ি দাম বাড়বে এবং সেটার প্রভাব পড়বে ব্যবহৃত গাড়ির বাজারেও। ২০২৬ সালের মধ্যে ব্যবহৃত গাড়ির দাম বাড়বে।
গাড়ি ক্রয়ে গ্রাহকদের সাহায্য করে থাকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কার হেল্প কানাডা। সংস্থাটির সদস্য শারি প্রাইম্যাক বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, গাড়ি নির্মাতা অপেক্ষা করা এবং দেখার নীতি অবলম্বন করছেন।
কার হেল্প কানাডার তথ্য অনুযায়ী, এখনই নতুন গাড়ির দাম ব্যাপকভাবে বাড়বে বলে মনে করছে না তারা। তবে ডিলাররা প্রণোদনা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে হচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যয় সাশ্রয়ী পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে।
উৎপাদকরা কীভাবে এই শুল্ক মোকাবিলা করে, তা দেখার জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে গ্রুপটি। প্রাইম্যাক বলেন, আমরা ভোক্তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলছি। সেই সঙ্গে আগামীকালই একটি নতুন গাড়ি না কিনে ফেলার কথা বলছি।